আমরা অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি: সেতুমন্ত্রী

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: লাইভ থেকে নেওয়া

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং অনুষ্ঠানের চেয়ারপারসন ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনা, আপনাকে অভিবাদন। আপনাকে স্যালুট করি। গোটা জাতি আজ আপনাকে স্যালুট করে। সারাবিশ্বে আজ আপনি প্রশংসিত।'

আজ শনিবার সকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রমাণ করেছেন, ইয়েস, উই ক্যান। আমরাও পারি। নিজের টাকায় করব। প্রমাণ করেছেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা। কী দুঃসময়, কী চ্যালেঞ্জ, চক্রান্ত, দেশে-বিদেশে। সবকিছুকে অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি।'

'একা নন প্রধানমন্ত্রী, শেখ রেহানার কী অপরাধ ছিল? জয়ের কী অপরাধ ছিল? পুতুলের কী অপরাধ ছিল? ববির কী অপরাধ ছিল? একটা পরিবারকে টার্গেট করে হেনস্তা করা হয়েছে। একটা পরিবারকে অপমান করা হয়েছে, শুধু পরিবার নয়, বাঙালি জাতিকে সেদিন অপমান করা হয়েছে এই সেতুর প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে। অপবাদ দিয়েছে দুর্নীতির। আজকে বঙ্গবন্ধু পরিবার, আমাদের সাবেক উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সচিব, অনেককেই অপমান করা হয়েছে', বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমি মনে করি (পদ্মা সেতু) সক্ষমতার প্রতীক। আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, সেটা সত্য। তারচেয়েও বড় সত্য আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আজ বারবার মনে পড়ে, এই পদ্মা পাড়ে ভাঙন, মাওয়ায় ভাঙন, লৌহজংয়ে ভাঙন, জাজিরায় ভাঙন, শিবচরে ভাঙন, ভাঙনের খেলা পদ্মা পাড়ে কাজ করাটাই ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আমরা এই সংকট, এত প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করতে পারতাম না।'

'আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি (তাদেরকে) যারা এই পদ্মা সেতুর জন্য বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে পদ্মার ২ পাড়ের তাদের পৈতৃক ও ফসলি জমি ত্যাগ-উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি', যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সবার আক্ষেপ, আমারও ছিল আক্ষেপ, সবাই চেয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে যখন পদ্মা সেতু, এই সেতু নির্মাণে অন্য কারো কোনো কৃতিত্ব নেই, একজনেরই কৃতিত্ব, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা, কেন পদ্মা সেতুর সঙ্গে তার নাম থাকবে না? এটা ছিল সারাদেশের দাবি। সারা বাংলায় এটাই ছিল দাবি। কিন্তু, বঙ্গবন্ধু-কন্যা এই দাবি গ্রহণ করেননি। নাকচ করে দিয়েছেন। বলেছেন, "যে পদ্মা সেতুর জন্য আমার গোটা পরিবার এত অপমানিত, জাতি হিসেবে আমাকে অসম্মান করা হলো, আমি সেখানে আমার নাম, আমার পরিবারের নাম, কারো নাম সেখানে থাকবে না"।'

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আপনার নাম আপনি পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করলেন না, কিন্তু, এটাও বলি, আমরা জানি, কাগজে লিখ নাম ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লিখ নাম মুছে যাবে, পাথরে লিখ নাম ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখ নাম রয়ে যাবে। আপনি হৃদয়ে নাম লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন করে লিখিয়েছেন। যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন আপনার নামটি সগৌরবে, অহংকারের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

7h ago