সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের পরামর্শ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: সিইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনার জন্য তারা ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে।
কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইসি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের অনুমোদিত সাংবাদিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
গত ১৮ মে ইসি সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে চিঠি পাঠায় এবং বেশ কয়েকজন চিঠি পেয়েছেন বলে আজ নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা সংলাপে অংশ নেওয়া আলোচকদের পরামর্শ পর্যালোচনা করছেন।
তিনি আরও জানান, ইসির সিদ্ধান্ত জানিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, ১৩ মার্চ কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশের জন্য বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত চতুর্থ ধাপে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, চতুর্থ ধাপের সংলাপের সময় আলোচনাকারীদের অনেকেই নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য এবং জাতীয় নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুপারিশ করেছিলেন।
আলোচকরা ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেছেন। তারা আরও বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
ইভিএম মেশিনের অপব্যবহার হবে না সেটা নিশ্চিত না হলে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
চিঠিতে ইসি জানিয়েছে, ইভিএমের অপব্যবহার বন্ধে তারা ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে। ইভিএমের বিষয়ে আরও পর্যালোচনার জন্য তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবেন।
ইসি আরও জানিয়েছে, তারা স্থবির হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ভালো-মন্দ মূল্যায়ন করছে।
Comments