সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত আলা উদ্দিনের বাড়িতে মাতম

আলাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নিভাতে গিয়ে মারা যাওয়ায় ফায়ার ফাইটার মো. আলা উদ্দিনের (৩৬) বাবা মা ও স্ত্রীর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রাম।

আলা উদ্দিনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (২৫) আহাজারি করছেন আর বলছেন, আমার সুখের কপাল পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

আলা উদ্দিন এক সপ্তাহের ছুটি শেষে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে তার কর্মস্থল কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন। শনিবার রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত করেন শ্যালক মুকুল।

আলা উদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিলের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের ছেলে। তার বড় ভাই নাসির উদ্দিন জানান, ৬ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে নাসির ছিলেন সপ্তম। এসএসসি পাস করে ২০০৮ সালে আলা উদ্দিন ফায়ারম্যান হিসেবে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে যোগদান করেন। তার সর্ব শেষ কর্মস্থল ছিল কুমিরা ফায়ার স্টেশান। তার ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

শনিবার রাতে আগুন নিভাতে গিয়ে আলা উদ্দিন নিখোঁজ হয়। তার অফিসের এক কর্মকর্তা রাতে ফোন করে জানান আলা উদ্দিন আগুন নিভাতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন। আলা উদ্দিনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে আলা উদ্দিনের শ্যালক মুকুল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে যান। সেখানে তিনি মরদেহ শনাক্ত করেন।

আলা উদ্দিনের মা মমতাজ বেগম বিলাপ করছেন, 'আমার পুলা কই গেলো গো, তারে আমার কাছে আইনা দেন। সে কোনো দিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে নাই। আমার পোলারে আইনা দেন।'

আলা উদ্দিনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন ৭দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে যাওয়ার সময় আলা উদ্দিন বলেছিলেন কোরবানির ঈদে বাড়িতে আসবেন। তার আর ঈদ করা হলো না। আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকার দেখছি।

Comments

The Daily Star  | English

US states worried about election unrest take security precautions

Many of the most visible moves can be seen in the battleground states that will decide the presidential election, states like Nevada where protests by Trump supporters broke out after the 2020 election.

1h ago