মীরসরাই দুর্ঘটনা: সেনাবাহিনীতে চাকরি করে নানির পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল মারুফ

চমেকের জরুরি বিভাগে মারুফের নানি নূর নাহার বেগম। নাতিকে হারিয়ে দিশেহারা তিনি। ছবি: নজরুল ইসলাম

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে ইকবাল হোসেন মারুফ। মারুফের নানির কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। চমেকের জরুরি বিভাগের মেঝেতে বসে আহাজারি করছিলেন মারুফের নানি নূর নাহার বেগম। নাতিকে হারিয়ে দিশেহারা তিনি।

ছোটবেলা থেকেই মারুফকে কোলে-পিঠে করে বড় করেছেন নানি নূর নাহার বেগম।

নূর নাহার বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসএসসি পরীক্ষার্থী ইকবাল হোসেন মারুফ আমার কাছে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে বলতাম। সে বলত, লেখাপড়া শেষ করে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে তোমাকে খাওয়াব। নানি তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না।'

'বুড়ো বয়সে এখন আমাকে কে দেখবে?,' এটুকু বলেই আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন নূর নাহার বেগম।

তিনি জানান, মারুফের বাবা আবদুল মাবুদ দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কাতারপ্রবাসী। মারুফের মাকে রেখে চলে গেছেন তিনি। তাই ছোটবেলা থেকে মারুফ আমার কাছে বড় হয়েছে। সে মেধাবী ছিল। তার সেনাবাহিনীতে চাকরির স্বপ্ন পূরণ হলো না।

জানা গেছে, হাটহাজারীর নজুমিয়া হাই স্কুল থেকে এবছর এসএসসি দেওয়ার কথা ছিল মারুফের। স্থানীয় আর এন্ড জি কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। সেই কোচিং সেন্টার থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক মিলে শুক্রবার সকালে পিকনিকে যান মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায়। পথে শিক্ষার্থীদের বহনকারী মাক্রোবাসটি পূর্ব খৈয়াছড়া রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাস চালকসহ ঘটনাস্থলেই ১১ জনের নিহত হন। এদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষক এবং ৬ জন শিক্ষার্থী আছেন।

Comments

The Daily Star  | English
EU helping Bangladesh to strengthen border security

EU recommends revising ICT's legal framework in line with int'l standards

EU also underlined the importance of ensuring due process at all stages of proceedings to ensure justice

1h ago