তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৫ দিন ধরে ফেরি বন্ধ

শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ফেরি চালু আছে। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপত্তার জন্য পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ আছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল।

অন্যদিকে, শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে পারের অপেক্ষায় যানবাহন ছিল না। তবে সারাদিন ঘাটে আসা গাড়ি স্বাভাবিকভাবেই পদ্মা পার হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে ২০-৩০টি গাড়ি পারের অপেক্ষায় ছিল।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম-মেরিন) আহম্মদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ আছে। স্রোত না কমা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পিলার অতিক্রম করে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসি শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দিঘাট ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলাবাজার ঘাট বন্ধ থাকায় যাত্রী ও যানবাহন মাঝিকান্দি ঘাটে এলেও, সোমবার সারাদিন মাঝিকান্দি ঘাটে ঢাকামুখী যানবাহনের তেমন চাপ ছিল না।

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিমুলিয়া ঘাটে স্বাভাবিকভাবেই ফেরির মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গগামী যানবাহন পদ্মা পার হচ্ছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ নেই।'

শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ১টি নতুন ফেরি যুক্ত হয়ে বর্তমানে ৮টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান তিনি।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ৮৪টি লঞ্চ ও ১৪২টি স্পিডবোট শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি-বাংলাবাজার নৌপথে চলাচল করেছে। আজ সারাদিন যাত্রীদের ভিড় স্বাভাবিক ছিল। নৌযান চলাচলেও কোনো অসুবিধা হয়নি।

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গত ২৬ মে সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি।

পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে এ নৌপথে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago