টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি: তদন্ত কমিটি

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারী ৩ যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা আদায় করায় বরাখাস্ত হওয়া ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডানে) কাছে প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। ছবি: স্টার

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারী ৩ যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা আদায় করায় বরখাস্ত হওয়া ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।

ট্রেনের একজন যাত্রী মো. ইমরুল কায়েস প্রান্ত রেলওয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তাৎক্ষণিক টিটিই শফিকুলকে বরখাস্ত করে ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

 

পরবর্তীতে এ ঘটনা তদন্তে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা পাকশীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা দিতে পারেনি। আজ সোমবার তারা পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।

তদন্ত কমিটির প্রধান সাজিদুল ইসলাম আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাইনি।'

তিনি বলেন, 'অভিযোগকারী, অভিযুক্ত এবং ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন এমন মোট ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'অভিযোগকারী ইমরুল কায়েস প্রান্তের সঙ্গে টিটিই শফিকুলের ভাড়া নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। টিটিই চলে যাওয়ার পর ওই কামরার গার্ড প্রান্তকে প্ররোচিত করেন টিটিইর নামে অভিযোগ দিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রান্ত ট্রেন থেকে নেমে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।'

এ ঘটনার রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা এই কমিটির তদন্তের বিষয় ছিল না।'

সাজিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত শেষে এই কমিটি মোট ৩টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হচ্ছে, টিটিই মো. শফিকুল ইসলামকে স্বপদে বহাল রাখা, অভিযোগ করতে প্ররোচনা দেওয়া গার্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং রেলওয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপনকারী মো. ইমরুল কায়েস প্রান্তকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago