চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারে ফাটল দেখা দেয়নি, এটা গুজব: নির্বাহী প্রকৌশলী

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের ফাটলের বিষয়টি গুজব বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. মাহফুজুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারে ফাটলের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের ফাটলের বিষয়টি গুজব বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. মাহফুজুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গতকাল দিবাগত রাত ১০টার দিকে ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র‌্যাম্পের পিলারে 'ফাটল' দেখা দেওয়ায় এর ওপর ও নিচ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ বিকেলে ফ্লাইওভার পরিদর্শনে আসে চউক প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র‌্যাম্পের পিলারগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ফ্লাইওভারে কোনো ফাটল দেখা দেয়নি। এটা গুজব।'

'ফাটল বলে যেটার কথা বলা হচ্ছে, সেটা শাটার আপডাউনের দাগ। ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সময় থেকেই এটি ছিল,' বলেন তিনি।

বুধবার ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে আরও পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি।

১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলাকালে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে একটি গার্ডার ধসে গিয়ে ১৪ জন নিহত হন।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ২০১০ সালে চউকের তত্ত্বাবধানে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের দুর্ঘটনার পর এর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন।

প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, '২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আমরা ফ্লাইওভারটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করি। কিন্তু তারা ঠিকমতো ফ্লাইওভারের দেখভাল করেনি। এই ফ্লাইওভার দিয়ে সবসময় ওভারলোড ট্রাক চলাচল করে।'

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন উল ইসলাম বলেন, 'ফাটল বুঝতে হলে ক্রেন দিয়ে উপরে গিয়ে দেখতে হবে। তবে নিচ থেকে দেখতে ফাটলের মতো মনে হছে। বিশেষজ্ঞরা ছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'ফ্লাইওভারে হাইট ব্যারিয়ার দেওয়ার কথা ছিল চউকের। কিন্তু তারা তা করেনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago