বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ভবনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: সংগৃহীত

বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং মাছগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ শনিবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে ভাতে-মাছে বাঙালির চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মৎস্য খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিকশিত করছেন এ ধারাকে অব্যাহত রেখে মৎস্য সম্পদে বিশ্বে আমরা অনন্য জায়গায় পৌঁছে যাব। এ লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'ভাতে-মাছে বাঙালির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের জায়গাতে আমরা শুধু পরিপূর্ণতাই আনব না, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।'

'করোনার কারণে অনেক প্রবাসী বেকার হয়ে দেশে ফিরেছেন' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'করোনায় সৃষ্ট বেকারদের পুনর্বাসনে আমাদের মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ছে ও উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। আবার মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আমরা দেশে আনতে সক্ষম হচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে ইলিশের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে, জাটকা নিধন বন্ধ হয়েছে, দেশের মানুষের কাছে যে মাছগুলো দুর্লভ ছিল, সেগুলো ফিরে এসেছে। বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে আমরা ফিরিয়ে এনেছি এবং সেটা আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি।'

তিনি জানান, বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ ৩য়, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম, ইলিশ উৎপাদনে ১ম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ।

বিগত এক দশকে আমাদের মৎস্য উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির ধারা নয় দশমিক এক শতাংশ, যা বিশ্বের মূল উৎপদানকারী দেশসমূহের মধ্যে ২য় বলেও জানান তিনি।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago