এসডিজি ৫ অর্জনে নারীর অস্বীকৃত গৃহস্থালি কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে: এমজেএফ
নারীর অস্বীকৃত ও অমূল্যায়িত গৃহস্থালি এবং সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) 'সময়ের ব্যবহার' সংক্রান্ত সমীক্ষাটি প্রকাশ করায় বাংলাদেশ সরকার ও বিবিএসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
একই সঙ্গে এমজেএফ আশা করছে এই টাইম সার্ভে বা সময়ের ব্যবহারের হিসাবটি জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পুরুষের চেয়ে নারী সংসারের ৮ গুণ কাজকর্ম বেশি করেন এবং নারীরা গড়ে ১১ দশমিক ৬ ঘণ্টা এসব কাজে ব্যয় করেন।
এমজেএফ পরিবারে নারীর এই অবৈতনিক ও সেবামূলক কাজগুলোকে মূল্যায়ন করে তা জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১২ সাল থেকে দেশব্যাপী 'মর্যাদায় গড়ি সমতা' শীর্ষক একটি প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে। প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এমজেএফ গত ১০ বছরে অসংখ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, 'আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি, যাতে কিছু নতুন বিশ্লেষণ উপস্থাপন এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করার মাধ্যমে নারীর অ-অর্থনৈতিক কাজকে তুলে ধরা যায়। এই জরিপের মাধ্যমে সেই তথ্যগুলোই উঠে এসেছে এবং সে কারণেই আমরা সরকার ও বিবিএসকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনেকরি কোনো দেশ যদি অধিকতর বাস্তবসম্মত শ্রম এবং কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই নারীর অ-অর্থনৈতিক কাজকে শ্রমবাজার অর্থনীতির আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে।'
এমজেএফসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে, জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি (এসএনএ) সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা স্যাটেলাইট একাউন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নারীর অবমূল্যায়িত কাজকে তুলে ধরারও কথা বলছে।
জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে এসডিজি ৫ অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই নারীর এই অস্বীকৃত গৃহস্থালির কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে, যা টার্গেট ৫.৪ এবং সূচক ৫.৪.১ এ সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। এমজেএফ গভীরভাবে বিশ্বাস করে পরিবার ও সমাজে নারীর অর্থনৈতিক ও অ-অর্থনৈতিক সব কাজের মূল্যায়ণ হলে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতার পরিমাণ কমে আসবে।
Comments