মুন্সিগঞ্জ

ধর্ষণচেষ্টার পর ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ রিমান্ডে

ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে মৃত ছাত্রীর স্বজন ও স্থানীয়রা। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

মুন্সিগঞ্জে সদর উপজেলায় মাদ্রাসার সাড়ে ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার পর গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়ার (৩৪) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউনুস মিয়াকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব খান রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শনিবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার দুপুরে এ ঘটনার বিচার দাবিতে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে মৃত ছাত্রীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

গত শুক্রবার ছাত্রীর মা ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার মদিনাতুল মনোয়ারা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস মিয়া, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি জামাল উদ্দিনের স্ত্রী হাবিবা আক্তার (২৭)।

ছাত্রীর মা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার ইউনুস মিয়া নিজ বাসার কক্ষে ডেকে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। ওই বাসার মালিকও চিৎকার শুনেছে। এ মাদ্রাসায় করোনাকালেও এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ইউনুস মিয়া ও তার স্ত্রী এসব ঘটনা ধামাচাপা দেয়।'

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ইউনুস মিয়া নিজেই ওই ছাত্রীকে হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্ত শেষে সেদিন বিকেলে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।

মৃত শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ, ইউনুস ও তার স্ত্রী সোনিয়া এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা করেছেন সোনিয়ার ভাই জামাল হোসেনের স্ত্রী হাবিবা আক্তার। তাই তাদেরকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারক তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ঘটনার পরদিন ১০ জুন মামলা হয়েছিল। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

'হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব খান বলেন, 'আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্য দিচ্ছে তা যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ছাত্রীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।'

তিনি আরও জানান, শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ আদালতে আসামি ইউনুছকে হাজির করা হয়। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

11h ago