কক্সবাজারের সার্ভেয়ার আতিকুর ৫ দিনের রিমান্ডে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আদালতে আতিকুরের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলে সার্ভেয়ার আতিকুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।'
এর আগে, গতকাল রোববার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজারে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় স্থাপনের পর এটিই প্রথম রুজু হওয়া মামলা।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, 'সার্ভেয়ার আতিকুর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেওয়া হবে।'
গত শনিবার কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ আতিকুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের আদেশে আতিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগের দিন শুক্রবার ঢাকা বিমান বন্দরে সাড়ে ২৩ লাখের বেশি টাকাসহ ধরা পড়েন সার্ভেয়ার আতিকুর। তাকে কক্সবাজার ফিরিয়ে আনার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন এবং ওই সার্ভেয়ারকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে থানায় সোপর্দ করতে যে জিডি করা হয়েছিল তা দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই জিডির অনুলিপি পাওয়ার পর শনিবার মামলা অনুমোদনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়। প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আতিকুরের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি মহেশখালীতে সরকারের প্রায় ১৫টি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বরত ছিলেন।
Comments