অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। ফাইল ছবি সংগৃহীত

দুই কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় 'ক্যাসিনো ব্রাদার্স'- এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে প্রত্যেককে ৪ কোটি টাকার সমানুপাতিক হারে জরিমানাও করা হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় দেন।

আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহ-সভাপতি এনু ও একই ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপনসহ ৭ জনের উপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়। বাকি চার আসামি পলাতক।

অন্য আসামিরা হলেন- তাদের তিন ভাই শহীদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া ও মিরাজুল হক ভূঁইয়া; মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার, তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সি, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে এনু, রূপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুলকে এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারা এখন কারাগারে আছে।

এর আগে একই মামলায় তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। মামলার আসামি শহীদুল, রশিদুল, মিরাজুল ও পাভেল পলাতক আছেন।

রায়ে বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন নিঃসন্দেহে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধ করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পলাতকদের শাস্তি তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।

বিচার চলাকালে আদালত মামলার বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক সাদেক আলী এনু ও রূপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৩ এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে এনু ও রূপনের বিরুদ্ধে আরও ১২টি মামলা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

8m ago