আর্কাইভ থেকে

ব্রাহমা গরু আমদানির নেপথ্যে

 

আমদানি নিষিদ্ধ, কিন্তু তাতে কী? চাইলেই সব কিছু লুকিয়ে নিয়ে আসা যায়, এমনকি দেশের প্রধান বিমানবন্দর দিয়েও।

মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ১৮টি ব্রাহমা গরুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়িয়ে আনার ঘটনাটিও এরকমই। তবে গরুগুলোকে গ্রহণ করার জন্য কেউ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাননি।

দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গরুগুলোকে আনার জন্য আমদানিকারক সাদিক এগ্রো লিমিটেড প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছে এবং এর আগেও তারা সম্ভবত জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের খামারে ব্রাহমা জাতের গরু এনেছিল।

বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই প্রতিবেদক কিছু জাল কাগজপত্রের অনুলিপি সংগ্রহ করতে পেরেছেন, যেগুলো সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে অবমাননা করে এই প্রজাতির গরু আমদানির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

আমদানিকারক কিংবা তার প্রতিনিধি শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিল অফ এন্ট্রিও জমা দেননি, যেটি চালান দেশে পৌঁছানোর আগে বা পরে জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে 'ম্যানেজ' করার প্ল্যান 'এ' ব্যর্থ হওয়ার পর একটি ধরাবাঁধা প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল। প্রথমে শুল্ক কর্মকর্তারা গরু জব্দ করবেন এবং তিন সপ্তাহ অপেক্ষার পর সেগুলোকে নিলামে তুলবেন।

কিন্তু যদি প্ল্যান বি, অর্থাৎ নিলাম থেকে গরুগুলোকে কিনে নেওয়া, অথবা প্ল্যান সি, আদালতে জরিমানা দেওয়ার ব্যাপারটি কাজ করতো, তাহলে আমদানিকারক সাদিক এগ্রো লিমিটেড ঠিকই ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ব্রিডের এসব বিশাল আকৃতির ষাঁড়গুলোকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার খামারে নিয়ে যেতে পারতো।

মাত্র দুই মাস আগে ডেইরি সান নামের আরেকটি এগ্রো খামার ন্যুনতম জরিমানা ও আদালতে দুঃখ প্রকাশের বিনিময়ে ৩০টি ব্রাহমা গরু ছাড়িয়ে নিতে পেরেছে।

৮ জুলাই ও ৯ জুলাই সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমদানির কাগজপত্র ও গরুগুলোকে আমদানির কারণ সম্পর্কে দুই ধরনের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, 'কোনো কাগজ জমা দেওয়া হয়নি', তিনি 'জাল কাগজপত্র জমা দেওয়া সম্পর্কে অবগত ছিলেন না', 'ভুল হয়েছিল', 'গরুগুলোকে গবেষণার জন্য আনা হয়েছে' এবং 'গরুগুলো উপহার হিসেবে এসেছে', এসব বলেন।

ইমরান জোর দিয়ে বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো সাদিক এগ্রো ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানি করেছে।

কিন্তু এই সংবাদদাতা তাদের খামারে সম্ভাব্য ভোক্তা সেজে গেলে তাকে একটি দুই বছর বয়সী ব্রাহমা গরু দেখানো হয় এবং ৮০০ কেজি মাংস হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়। ছবি দেখে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা এটিকে ব্রাহমা প্রজাতির গরু হিসেবে নিশ্চিত করেন।

আগে ব্রাহমা প্রজাতির গরু অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে এরকম অন্য একটি এগ্রো ফার্মের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি প্রতিটি গরুর পেছনে প্রায় ৫৮ হাজার টাকা খরচ করেছেন।

সূত্র জানায়, সাদিক এগ্রো এর আগে পাঁচটি চালানে প্রায় ২০০টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু আমদানি করেছে। তবে ফার্মটির মালিক এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রায় দুই একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সাদিক এগ্রোতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় তিন হাজারেরও বেশি গরু আছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, খামারটির বেশ কিছু অংশ একটি খালকে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে।

কাগজপত্র সবই জাল

দ্য ডেইলি স্টার সাদিক এগ্রোর জমা দেওয়া তিনটি নথি পেয়েছে, যেগুলোর ভিত্তিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্স তাদের মালবাহী উড়োজাহাজে করে গত ৫ জুলাই ব্রাহমা গরুগুলোকে নিয়ে এসেছে। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা জানান, মালবাহী উড়োজাহাজের যে ফ্লাইটে গরুগুলো এসেছে, সেটিতে আরও অনেক পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে।

নথিগুলো হলো গবাদি পশু আমদানি সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং তাদের ঠিকানা হিসেবে লেখা হয়েছে ৭০২০ এইচডব্লিউওয়াই ৭৫, সাউথ ম্যাডিসনভিল, টেক্সাস।

১০ জুলাই দ্য ডেইলি স্টার মার্কিন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে ইমেইল পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে তারা সাদিক অ্যাগ্রোর মালিকের দাবি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে গবেষণার জন্য গরুগুলো পাঠিয়েছে কী না। এই সংবাদদাতা এখনও সে ইমেইলের কোনো উত্তর পাননি।

আমদানিকারকের জমা দেওয়া তিনটি কাগজেই তারিখ দেওয়া আছে ২৫ মে এবং স্বাক্ষরকারীর নামের জায়গায় লেখা আছে 'মোহাম্মদ ওমর ফারকে (ইংরেজিতে Farqe), সহকারী পরিচালক (কোয়ারেন্টাইন) এসি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।'

সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরানকে এই তিনটি কাগজ দেখানো হলে তিনি জানান তিনি প্রাণিসম্পদ বিভাগ অথবা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে এধরনের কোনো কাগজ জমা দেওয়ার ব্যাপারে জানেন না।

দ্য ডেইলি স্টার মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামের একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে খুঁজে পান, যিনি বর্তমানে পদায়নের মাধ্যমে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পশু রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন।

তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফারুক জানান তিনি সাদিক অ্যাগ্রোর কোনো কাগজে সই করেননি।

তিনি জানান, 'প্রকৃতপক্ষে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কাগজ ইস্যু করার অনুমোদন নেই আমার। সাদিক এগ্রো এমন কি আমার নামের সঠিক বানানটিও লেখেনি', বলেন ফারুক।

কাগজে উল্লিখিত মোবাইল ফোন নাম্বারটিও ফারুকের নয়। নাম্বারে কল দেওয়ার পর নম্বরটির ব্যবহারকারী হিসেবে ট্রুকলার অ্যাপে জনৈক এসএম রেজার নাম দেখানো হয়।

এই সংবাদদাতা নাম্বারটিতে বেশ কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ফোন করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শেখ আজিজুর রহমানের ৯ জুলাই দ্য ডেইলি স্টারকে জানান তিনটি কাগজই জাল, কারণ অধিদপ্তর থেকে সাদিক এগ্রোকে এ ধরনের কোন কাগজ দেওয়া হয়নি।

তিনি নিশ্চিত করেন, ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি ২০১৬ সাল থেকে নিষিদ্ধ আছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'কোন সাহসে সাদিক এগ্রো জাল কাগজ ব্যবহার করে এই গরুগুলোকে আমদানি করেছে!'

পরস্পরবিরোধী বক্তব্য

৮ জুলাই ইমরান দাবি করেন, এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৮টি ব্রাহমা গরু গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য পাঠিয়েছে, যাতে যাচাই করে দেখা যায় এই গরুটি বাংলাদেশের মৌসুমি জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে কী না।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এনওসি পেয়েছেন কী না জিজ্ঞাসা করা হলে ইমরান জানান তারা বেশ কয়েক মাস আগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও সেটি পাননি। তিনি জানান, 'কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মন্ত্রণালয়ের কার্যধারা বিলম্বিত হয়েছে।'

তবে তিনি দাবি করেন, ইতোমধ্যে রপ্তানিকারক চালানটি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, যিনি পাঠিয়েছেন তিনি গরুগুলো পাঠানোর সময় কিছু ভুল করেছেন, কিন্তু কি ধরনের ভুল, সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি তিনি। 

একদিন পরেই তিনি তার আগের বক্তব্যের বিরুদ্ধে যেয়ে বলেন, তিনি প্রকৃতপক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অথবা মন্ত্রণালয়ে এনওসি'র জন্য কোনো কাগজ জমা দেননি। তিনি ধারণা করেছিলেন গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য গবাদি পশু আমদানি করার ক্ষেত্রে কোনো এনওসি'র দরকার হয় না।

তারপর তিনি জানান, 'এটি এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে উপহার হিসেবে এসেছে, তাই আমরা ধরে নিয়েছিলাম উপহারগুলো গ্রহণ করার জন্য কোনো এনওসি'র প্রয়োজন হবে না।'

এক পর্যায়ে ইমরান এই সংবাদদাতাকে একটি কাগজ দেখান, যেখানে শিরোনাম হিসেবে লেখা আছে 'ইউএস অরিজিন হেলথ সার্টিফিকেট ফর এক্সপোর্ট অফ ক্যাটেল টু দ্য বাংলাদেশ ফ্রম দ্য ইউনাইটেড স্টেটস।' বিস্ময়করভাবে, সনদটি ইস্যু করার তারিখটি লেখা হয়েছে বাংলায়।

ইমরান, যিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, দাবি করেন তারা শুল্ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।

সেক্ষেত্রে শুল্ক কর্মকর্তারা কেন গরুগুলোকে আটক করেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানা, তারা এটি করেছে কারণ সাদিক অ্যাগ্রো এনওসি জমা দেয়নি। 

ইমরান বলেন দুই মাস আগে ডেইরি সান নামের একটি এগ্রো খামার ঢাকায় ৩০টি ব্রাহমা গরু আমদানি করেছিল, যেগুলো শুল্ক কর্মকর্তারা আটক করেছিলেন।

পরে শুল্ক কর্মকর্তারা হাইকোর্টে একটি মামলা করার পর খামারটি কিছু পরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসেবে দিয়ে তাদের গরুগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুল্ক বিভাগ গরুগুলোকে আটকে রাখলে তিনিও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করবেন বলে ভেবেছিলেন, জানান ইমরান।

ডেইরি সানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুল ইসলাম জিসান স্বীকার করেন তারা ৩০টি ব্রাহমা গরু আমদানি করেছেন, যদিও খামারটির শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেজিয়ান প্রজাতির গরু আমদানির জন্য এনওসি সনদ ছিল।

কর্মকর্তারা একটি মামলা দায়ের করেন, এবং তারা জরিমানার টাকা পরিশোধ করার পর উচ্চ আদালত শুল্ক বিভাগকে নির্দেশ দেয় গরুগুলোকে তাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তিনি জানান, 'গরুগুলোকে ছাড়ানোর জন্য আমাদেরকে শুল্ক বিভাগের কাছে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।'

টার্কিশ এয়ারলাইন্স যা বলেছে

সাদিক এগ্রোর কাগজপত্রগুলো জাল হওয়া সত্ত্বেও কেন এবং কীভাবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স তাদের চালানটি পরিবহন করে নিয়ে আসলেন, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ঢাকায় এয়ারলাইন্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক কিংবা রপ্তানিকারকের প্রতিনিধির দেওয়া কাগজপত্র যাচাই করা এয়ারলাইন্সের দায়িত্ব নয়, বিশেষ করে চালানে কোনো সংবেদনশীল পণ্য না থাকলে।

এ মাসের শুরুর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাটি বলেন, 'আমাদের সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে শুধু এটুকু নিশ্চিত করতে হয় আমদানির জন্য নির্ধারিত পণ্যগুলো পরিবহনযোগ্য কী না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমদানিকারক প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাগজগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকের কাছে পাঠান এবং তাদের প্রতিনিধি আমাদের পণ্য পরিবহন সেবাটি নির্বাচন করেন।'

কর্মকর্তাটি জানান, যেহেতু মালবাহী উড়োজাহাজটি অবতরণ করার পর সাদিক এগ্রোর কোনো প্রতিনিধিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই 'শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে কাগজগুলো দেখতে চান এবং পরবর্তীতে সেগুলোকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করেন।'

ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান তারা সাদিক এগ্রোর আমদানি করা গবাদি পশু আটক করেছেন এবং প্রাপক বিল অফ এনট্রি জমা দিতে না পারায় সেগুলোকে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার, সাভারের জিম্মায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবারে, দ্য ডেইলি স্টার শুল্ক বিভাগ এ ব্যাপারে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে তা জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম বলেন, 'আসার দিন থেকে প্রাপক সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য ২১ দিন সময় পাবেন এবং তারপর আমরা সেগুলোকে যাচাই করবো। যদি তারা কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেব।'

জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে গবাদিপশু আমদানি করার সম্ভাব্য শাস্তি কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

11m ago