অধিকারের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ৩৭ নাগরিকের বিবৃতি
মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন 'অধিকার' এর নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৩৭ নাগরিক।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন 'অধিকার' বহু বছর ধরে বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা ও পরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বিশেষ করে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে তাদের কার্যক্রম ভুক্তভোগী, তাদের স্বজন তথা দেশের সব নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।'
বিবৃতিদাতারা বলেন, 'আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সম্প্রতি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনার জন্য সরকার যখন দেশে-বিদেশে সমালোচিত হচ্ছে তখন এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ক্ষতিকর বার্তা দেবে, গুম, খুন ও নির্যাতনের বিষয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়াবে এবং দেশের ক্রিয়াশীল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন হুমকির ইঙ্গিত দেবে। উচ্চ আদালতে অধিকার-এর নিবন্ধন নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন অবস্থায় এনজিও ব্যুরোর এই সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগের অবমাননার সামিল এবং সংবিধানে বর্ণিত সংগঠন করার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।'
বিবৃতিদাতার হলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, রাশেদা কে. চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. ইফতেফারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সারা হোসেন, ড. ফস্টিনা পেরেরা, ড. সামিনা লুৎফা, ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেইন, অধ্যাপক স্বপন আদনান, রোবায়েত ফেরদৌস, ড. শাহনাজ হুদা, ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষক বীণা ডি'কস্টা, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক, নূর খান লিটন, অরূপ রাহী, রেহনুমা আহমেদ, রেজাউর রহমান লেলিন, নাসের বখতিয়ার আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, ইজাজুল ইসলাম, অধ্যাপক পারভীন হাসান, গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম, অধ্যাপক নাসরিন খন্দকার, অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, গুমবিরোধী সংগঠন মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম।
Comments