পেট্রোলের মজুদ শেষ হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়, ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে তার ভাষণে জানান, দেশটিতে আর মাত্র এক দিনের পেট্রোল মজুদ আছে। তার এই ঘোষণার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলোতে দেখা গেছে মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
রাজধানী কলম্বোতে বসবাসকারী রবিন্দু পেরেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জ্বালানি তেল খুঁজতে শুরু করেছিলেন।
তিনি বিবিসিকে বলেন, 'আমরা বেশ কয়েকটি ফুয়েল স্টেশনে গিয়েছিলাম, তবে সেগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে টাউনহলের একটি লাইনে দাঁড়াই সুযোগ পাই। যেখান থেকে মূলত সরকারি যানবাহনের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।'
'সেখানে কম ভিড় ছিল- কিন্তু সারিটি ধীরে ধীরে প্রায় ২ কিমি দীর্ঘ হয়ে যায়। আমরা খুব ভাগ্যবান ছিলাম যে, সকাল ৯টার দিকে জ্বালানি পেয়েছিলাম।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজধানীর বাইরে আমার বন্ধুদের আরও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমি এখন জ্বালানী বাঁচানোর জন্য বাড়ি থেকে কাজ করছি। আবার কখন জ্বালানী পাব কে জানে।'
কলম্বোর সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবহন অটো রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল স্টেশনগুলোতে সারিবদ্ধ হয় জ্বালানীর জন্য।
সোমবারের ভাষণে বিক্রমাসিংহে বলেন, 'এই মুহূর্তে, আমাদের কাছে শুধু এক দিনের জন্য পেট্রোল মজুদ রয়েছে। আগামী কয়েক মাস আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন মাস হয়ে দেখা দেবে।'
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নোট ছাপাতে হবে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সকে বেসরকারিকরণ করা হতে পারে বলেও জানান বিক্রমাসিংহে।
মহামারি, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের দাম এবং জনগণের দাবিতে ট্যাক্স কমানোর কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈদেশিক মুদ্রার দীর্ঘমেয়াদী ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে সেখানে ওষুধ, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে।
Comments