আফগানিস্তানকে ১ কোটি ডলার সহায়তা দেবে জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবতা কার্যক্রমের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস আফগানিস্তানের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য ১ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক টুইটার বার্তায় গ্রিফিথস বলেন, 'শত শত মানুষ মারা গেছে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এই ভূমিকম্প আফগানিস্তানের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার তালিকার সর্বশেষ সহযোজন। আমি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ১ কোটি ডলারের অনুমোদন দিয়েছি।'
Hundreds of people killed. Many more injured. Homes destroyed. Children buried in the rubble.
The #AfghanistanEarthquake is the latest tragedy to befall the country. I released $10 million from @UNCERF to help with the immediate response. pic.twitter.com/LOB9ZLYCWI
— Martin Griffiths (@UNReliefChief) June 25, 2022
ইতোমধ্যে বেশি কিছু বিদেশী দেশ আফগানিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান যথাক্রমে ৭৫, ১০ ও ১০ লাখ ডলার দিয়েছে। এছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১০ লাখ ইউরো এবং যুক্তরাজ্য ২৫ লাখ পাউন্ড দিয়েছে।
এছাড়াও, ভারত ও পাকিস্তান থেকে ত্রাণ সামগ্রী এসেছে। চিকিৎসা সেবা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের উপ-মুখপাত্র বিলাল কারিমী বলেন, 'ত্রাণ বিতরণের জন্য কিছু কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিগুলো ত্রাণ সহায়তা বিশ্লেষণ করছে এবং তারা একে সঠিক ভাবে, যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেবে।'
দেশটির অর্থনীতিবিদ সায়েদ মাসৌদ মত প্রকাশ করেন, এই ত্রাণ তহবিল দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে দেশের ব্যাংকিং খাত পুনরুজ্জীবিত হবে।
'সরকারের বরাদ্দ করা ১০০ কোটি আফগানি সহ সারা বিশ্ব থেকে আসা ত্রাণ সহায়তা আমাদের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবেশ করানো উচিৎ। যখন আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থের প্রবাহ তৈরি করেন, তখন তা ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করে', যোগ করেন তিনি।
আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে গত ২ দশকের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে কোনো খাবার নেই। সেখানে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
এই ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ শ ছাড়িয়েছে।
Comments