৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে জাপানে জরুরি অবস্থা

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। ছবি: সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টোকিওসহ ১৯টি প্রিফেকচারে চলমান জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার।

আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে দেশটিতে ১৯টি প্রিফেকচারে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বহাল আছে।

ইয়োশিহিদে সুগা জানান, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলেও এসব এলাকা বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখা হবে।

আজ কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত করোনাভাইরাস উপ-কমিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সুগা।

প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, 'জাপানে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৭০০ জন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৭১৭ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ১ জুলাই থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৯৪ হাজার এবং মৃত্যু ২ হাজার ৭২৮ জন। মৃত্যুর হার শুন্য দশমিক ৩ শতাংশ।'

তিনি আরও বলেন, 'সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মৃত্যু কমানো সম্ভব হয়েছে।' এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুগা।

এর আগে গত রোববার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নোরিহিসা তামুরা এ মাসের শেষে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে টিকা প্রদান সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তারো কোনো ঘোষণা করেছিলেন, বছরের শেষ নাগাদ প্রথমে চিকিৎসা কর্মীদের, নতুন বছরের শুরুর দিকে প্রথমে বয়স্কদের এবং পর্যায়ক্রমে সবাইকে কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

গতকাল সোমবার পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ ২ ডোজ করে টিকা পেয়েছেন। এক ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ।

আজ টোকিওতে ২৪৮ জনসহ জাপানে মোট ১ হাজার ১৪৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ এবং মারা গেছেন ১৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি। সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৩ জন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago