দক্ষিণ চীনে বন্যায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে বড় আকারের বন্যার কারণে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গুয়াংডং প্রদেশে বাড়তে থাকা পানির মাত্রা ও ভূমিধসের ঝুঁকির মাঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস, অফিস ও গণপরিবহন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী প্রদেশ জিয়াংজিতে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের অনেকেই বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
গুয়াংডং এ প্রায় একই সংখ্যক মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই থাকেন শাওগুয়ান, হেইউয়ান ও মেইঝোউ শহরে।
তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে শহরগুলোতে সড়ক, বাড়িঘর, যানবাহন ও শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাষ দেওয়া হয়েছে।
চীনের কতৃপক্ষ রোববার এ বছর প্রথম বারের মত সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কবাণী জারি করে, যেটি 'রেড অ্যালার্ট' নামে পরিচিত।
ঝেজিয়াং প্রদেশে উদ্ধারকর্মীরা পানিতে ডুবে যাওয়া বাড়ির ভেতর আটকে থাকা বাসিন্দাদের নৌকার মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসেন।
গ্রীষ্মের মাসগুলোতে চীনে নিয়মিত বন্যা হয়ে থাকে, বিশেষত তীব্র বর্ষণের কারণে কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
তবে গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারের বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ আকারের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ১৯৯৮ সালের বন্যায় ২ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩০ লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়। এ বাড়িগুলো মূলত চীনের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী ইয়াংজির তীরে অবস্থিত ছিল।
এ ঘটনার পর সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলবিদ্যুত প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য চীনের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে, যার ফলে বন্যা হয়ে মানুষের জীবন, খাদ্যশস্য ও সুপেয় পানির উৎস বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে বন্যার কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Comments