বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ১

​বোমা বহনকারী ব্যক্তির ব্যাগে বিস্ফোরণ; আইএসের সংশ্লীষ্ট ওয়েবসাইটে হামলার দায় স্বীকার তবে পুলিশ বলছে আত্মঘাতী হামলা ছিলো না
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের পর পরই ওই এলাকাটি সিল করে দেয় পুলিশ। ছবি: আনিসুর রহমান

ঢাকায় বিমানবন্দরের সামনের রাস্তার গোলচত্বরে পুলিশ বক্সের কাছে বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বহন করা বোমার বিস্ফোরণেই তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আর কেউ আহত হয়নি।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর দায় স্বীকার করে। সন্ত্রাসী তৎপরতা নজদারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায়, আইএসের মুখপত্র আমাক একে ‘আত্মঘাতী’ হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আশকোনায় র‍্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলার এক সপ্তাহ পর গতকাল ঘটনাটি ঘটে। এই বিস্ফোরণস্থলটি থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দূরেই র‍্যাবের ব্যারাক। গত সপ্তাহের ওই হামলায় র‍্যাবের দুই সদস্য সামান্য আহত হন। সে সময়ও আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছিল বলে সাইট জানায়।

গতকাল বিস্ফোরণস্থল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “মনে হয়েছে ওই ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগে করে বোমাটি কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু পুলিশের তল্লাশি চৌকি দেখে বেশি সতর্ক হতে গিয়ে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছে হয়তো।”

বোমা বহনকারী ওই ব্যক্তির বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছরের আশপাশে। তার পরনে ছিলো জিন্স ও ফুলহাতা শার্ট। তার পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আসাদুজ্জামান জানান, যেখানে বিস্ফোরণটি হয়েছে তার মাত্র ২০ ধাপ দূরেই আট থেকে ১০ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি চাইলে হয়তো পুলিশের কাছে গিয়েও বোমাটির বিস্ফোরণ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ থেকে মনে হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলা করা তার উদ্দেশ্য ছিলো না। তদন্তের পর এ ব্যপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঘটনাস্থলের আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

5 Edn institutions: Academic life of 40,000 in disarray

Academic activities in five major educational institutions in Dhaka remain suspended for the past week amid multiple incidents of clashes, affecting at least 40,000 students.

3h ago