চলে গেলেন নায়করাজ রাজ্জাক

razzak
নায়করাজ রাজ্জাক। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

চলে গেলেন নায়করাজ রাজ্জাক। রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নায়করাজের নামাজে জানাজা আগামীকাল (২২ আগস্ট) বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কানাডায় বসবাসরত নায়করাজের ছেলে বাপ্পীর আসতে পারা বা না পারাও ওপর অনেক সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।

হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেস্কের একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য দেন। এদিকে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে নায়করাজকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তাঁর পালস পাওয়া যাচ্ছিলো না। এরপর, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোন শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় সোয়া ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের মহানায়কের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এ তথ্য দেন।

নায়করাজের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, নায়করাজের মৃত্যুর খবর শুনে নায়ক আলমগীর, শাকিব খান, মৌসুমী, ওমর সানী, ফেরদৌস, চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারসহ চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যরা ইউনাইটেড হসপিটালে ছুটে যান।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম নেওয়া রাজ্জাকের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ঢাকায় ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি। এ সময়ে তিনি ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া “বেহুলা”ই তাঁর প্রথম সুপারহিট ছবি।

“নাচে মন ধিনা ধিনা” গানটির সঙ্গে তাঁর নাচ ও রোম্যান্টিক উপস্থাপনা তাঁকে সিনেমাপ্রেমী দর্শকের মনে স্থায়ী আসন করে দেয়। তাঁর মিষ্টি চেহারা আর রোম্যান্টিক চাপল্য সে সময়কার তরুণ-তরুণীর মনকে দারুণভাবে আন্দোলিত করে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তম-সুচিত্রার সর্বোপ্লাবী জোয়ারের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি প্রায় একাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে দাঁড় করান। প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান “কী যে করি” সিনেমার জন্য। এরপর চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এই বরেণ্য অভিনেতাকে।

আরো পড়ুন:

আমি ১৭ কোটি মানুষের হিরো

নায়করাজ অভিনীত আলোচিত ৫ সিনেমা

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago