সততা ও সাহসী সাংবাদিকতার ৩২ বছর

আয়োজনে উপস্থিত ‘সেনটিনেল অব ফ্রিডম অব থট’ সম্মাননা পাওয়া কীর্তিমানরা। ছবি: স্টার

সততা ও সাহসিকতাকে অবলম্বন করে ৩ দশকেরও বেশি সময় আগে মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছিল দ্য ডেইলি স্টার, আজ তার ৩২ বছর উদযাপন করা হচ্ছে।

দেশের সর্বাধিক প্রচারিত এই ইংরেজি দৈনিকের ৩২ বছর উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার পাটাতন তৈরিতে অগ্রগামী এবং চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকারবন্ধ ১২ ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

ডেইলি স্টারের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা রক্ষা ও প্রচারে নিরলস কাজ করা ১২ কীর্তিমানকে 'সেনটিনেল অব ফ্রিডম অব থট' সম্মাননা দেওয়া হয়।

'সেনটিনেল অব ফ্রিডম অব থট' সম্মাননা পাওয়া জাতির এই ১২ জন সূর্যসন্তান তাদের কীর্তির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রেখেছেন এবং এদের প্রত্যেকেই চিন্তার স্বাধীনতার নিরলস সমর্থক।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। ছবি: স্টার

সম্মাননাপ্রপ্তরা হলেন— আলোকিত মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক, লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, শিক্ষাবিদ-প্রাবন্ধিক ও সাম্যবাদী তাত্ত্বিক যতীন সরকার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, লেখক-সমাজকর্মী নূরজাহান বোস, 'টোকাই' চরিত্রের স্রষ্টা চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, কিংবদন্তি অর্থনীতিবিদ ও প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক রেহমান সোবহান, শিক্ষাবিদ-লেখক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এবং শিক্ষাবিদ ও ভাষা আন্দোলনকর্মী শরিফা খাতুন।

তারা প্রত্যেকেই আজীবন মানুষের অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন চিন্তাধারার প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন। পরিণত হয়েছেন জাতির পথপ্রদর্শনকারী বিবেক হিসেবে।

সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই আনন্দ আয়োজনে ডেইলি স্টারের কর্মীদের পাশাপাশি যাদের নিয়ে খবর তৈরি হয়, যারা হন খবরের উৎস, তারাও সঙ্গী হন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্তিতস্কি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান প্রমুখ। 

এছাড়া হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এম আর হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এতে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শমসের মবিন চৌধুরী, শহিদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আরও ছিলেন যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, সাহিত্যিক আনিসুল হক, চিত্রপরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী, অভিনেতা তারিক আনাম খান, শাহনাজ খুশী, বৃন্দাবন দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নোয়াব প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ, প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, সাংবাদিক সাবির মুস্তাফা উপস্থিত ছিলেন। 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago