পরাণ: বাস্তবতার ছদ্ম উপস্থাপন আর নারী বিদ্বেষের বয়ান

কলকাতার সিনেমাগুলোর একটা বড় অংশ যেমন আমরা রাবিন্দ্রিক লেন্স থেকে চিত্রায়িত হতে দেখি, ঠিক তেমনি হাল আমলে দেশি চলচ্চিত্রগুলো একটু খেয়াল করলে দেখব এর বড় অংশের বয়ান বিবৃত হয় থানা বা পুলিশি লেন্স থেকে। এই সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরাণ (২০২২)-এও এর ব্যাত্যয় ঘটে না। গল্পের শুরু থানা থেকেই, শেষও এখানে। আর গল্প এগিয়ে যায় রায়হান রাফি তথা আম পাবলিকের বিবেক হিসেবে আবির্ভূত পুলিশ কর্মকর্তার বিবিধ জেরার মধ্য দিয়ে। ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রের মূল প্রটাগনিস্টের (প্রধান চরিত্র) পাশাপাশি এন্টাগনিস্ট (খল বা বিপরীত চরিত্র) অনন্যার (বিদ্যা সিনহা মিম) জবানবন্দিতেই জানতে থাকি, এই নারী আসলে কত খারাপ!

অনন্যা, যিনি একদম গাধা টাইপের মানুষ, পরীক্ষায় ফেল করাই যার নিয়তি। একইসঙ্গে তিনি লোভীও বটে। গরীব সরকারি চাকরিজীবী বাবার (শহীদুজ্জামান সেলিম) সন্তান মফস্বলের মেয়ে অনন্যা উপহার পেতে এবং মেকআপ করতে ভালোবাসেন। অনন্যা যতটুকু গাধা, তার মা (শিল্পি সরকার অপু) আরও বেশি বুদ্ধিহীন মানুষ। মায়ের আদর এবং অন্ধত্বের ছায়াতলেই অনন্যার বেড়ে ওঠা।  এদিকে  রোমান (শরীফুল রাজ) এলাকার ত্রাশ, যাকে এক নামে সবাই চেনেন এবং এলাকার রাজনৈতিক প্রভাববলয়ে পুষ্ট বড় মাস্তান। তিনি এই  অনন্যার প্রেমে পড়েন। অতঃপর 'গাধা অনন্যা' সিদ্ধান্ত নেন ছলনার মাধ্যমে 'ত্রাশ' রোমানকে ব্যবহার করার এবং এর মাধ্যমে সফলভাবে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে সক্ষম হন। রোমানের কাছ থেকে দামি দামি উপহার গ্রহণ করেন।

ছবি: সংগৃহীত

এদিকে কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন অনন্যা। তবে কীভাবে একেবারেই বুদ্ধিহীন এবং শুধুমাত্র নকল করে পাস করা শিক্ষার্থী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেন, সেটা অবশ্য রায়হান রাফি দর্শকের কাছে আড়ালেই রেখে দেন । এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক মেধাবী শিক্ষার্থী, বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান সিফাতের দেখা পান অনন্যা। একপাক্ষিক প্রেমে পড়েন এবং রোমানকে ব্যবহার করেই সিফাতকে কাছে টানেন। অনন্যার ছলনায় সিফাতও তার প্রেমের ফাঁদে ধরা দেন। এরপর গল্প এগিয়ে যায়।

মজার বিষয় হলো, ২০১৬ সালের ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটির মধ্য দিয়েই ঢাকাই চলচ্চিত্রে প্রবল ও রাষ্ট্র প্রশ্নে আপসহীন এবং একইসঙ্গে মানবিক পুলিশের রিপ্রেজেন্টেশন হাজিরের সূত্রপাত ঘটে। এর পাশাপাশি ওটিটির জগতেও দেশি কন্টেন্টে কপ থ্রিলারের প্রবল উন্মাদনা লক্ষ করি। এই উন্মাদনা চলমান। তবে পুলিশের 'মোরাল পুলিশিং' কিছুটা দিন-দ্যা ডে (২০২২) তে দেখা গেলেও তা পরাণকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না কিছুতেই। তাই নারীর ওপর পুরুষের মালিকানার সেই আদি ধারণার বৈধতার সুর খুঁজে পাই, যখন জেরার মাঝেই পুলিশ থানার মধ্যে দাঁড়িয়ে অনন্যাকে বলে ওঠেন, 'দুইজনের সাথে প্রেম করলে দুইজন তো মারামারি করবেই।' অথবা অনন্যা নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে পুলিশ কর্মকর্তাটি নাক ডেকে ঘুমাতে থাকেন। আর প্রেক্ষাগৃহভর্তি দর্শক হাসিতে ফেটে পড়েন।

মনে রাখা প্রয়োজন, বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত চলচ্চিত্রের পক্ষেও 'বাস্তবতা'কে রিক্রিয়েট করা কখনোই সম্ভব হয় না। কারণ একই 'বাস্তব' ঘটনা প্রত্যেকেই নিজের মতো করে পাঠ করেন। দ্বিতীয়ত, নির্মাতার বেড়ে ওঠা, মতাদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ওতপ্রোতভাবে। এই চলচ্চিত্র যদি কোনোভাবে বরগুনার নয়ন-মিন্নি এবং রিফাতের ঘটনার চিত্রায়ণ হয়েও থাকে, তবুও এই চলচ্চিত্রের স্রষ্টা খোদ রায়হান রাফি, যার দৃষ্টিভঙ্গি ও বয়ানে অনন্যা নিরঙ্কুশভাবে দোষী। চলচ্চিত্রের চারটি দৃশ্য—যেগুলো সেলিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে তার প্রতিটিই মৃত্যু, হত্যা আর বিশ্বাসঘাতকতায় ঠাসা এবং প্রত্যেকটিরই কারিগর অনন্যা। আর দুই পুরুষ চরিত্র অকারণেই অত্যন্ত অসহায় ও ভঙ্গুর। ফলে জনমানসে বরগুনার মিন্নির থেকেও আরও অনেক বেশি ঘৃণার উদগীরণ ঘটান চলচ্চিত্রের অনন্যা। ২ ঘন্টা ১৯ মিনিটের গল্প পাঠ শেষে দর্শক মনের সাধ মিটিয়ে একইসঙ্গে মিন্নি ও অনন্যাকে গালি দিতে দিতে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হন। অন্যদিকে রোমান ও সিফাতের জন্য তাদের বুকে ভর করে একরাশ মায়া। অনন্যা মারফত মিডিয়া ট্রায়াল হয় মিন্নির। অবাক করা বিষয়, চলচ্চিত্রটি এমন একটি সময়ে মুক্তি পেয়েছে, পায় যখন মিন্নির মামলাটি হাইকোর্টে রায়ের অপেক্ষায় ঝুলছে। ফলে সিনেমাটির বাস্তবের বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবার অবারিত সম্ভাবনা নিয়েই আমাদের সামনে হাজির হয়। 

ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো, এর কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যে, এটি বরগুনার নয়ন-মিন্নি-রিফাতের ঘটনার ওপর নির্মিত। কিন্তু দর্শক একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই প্রেক্ষাগৃহে আসছেন যে, তারা পর্দায় সেই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখবেন । মোদ্দা কথা তারা এটাকে বাস্তবের সত্য বয়ান বলেই গ্রহণ করছেন। প্রেক্ষাগৃহে তাদের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থও হচ্ছে, কারণ চলচ্চিত্রের নায়িকা অনন্যাকে, এর দুই নায়ক রোমান ও সিফাতের বাইনারিতে বা বিপরীতে অত্যন্ত খল একজন মানুষ হিসেবে হাজির করা হয়েছে। কেন অনন্যা এত খল, এত লোভী, এত অস্থির তার কোনো কারণ আমরা জানতে পারি না।  আর তাই খুব সহজেই অনন্যার কাঁধে চাপিয়ে দেয়া গেছে একটি নয় বরং তিনটি হত্যাকান্ডের দায়। আর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে তৃতীয় এক প্রেমিক। অবাক করা কাণ্ড, এই প্রেমিকও অনন্যার বিপরীতে আশ্চর্যরকম সরল।

এদিকে বাস্তবের নয়ন বন্ড আন্ডার গ্রাউন্ডে ছিলেন রিফাতকে হত্যা করার পর। অথচ সিনেমায় রোমানকে আন্ডারগ্রাউন্ডে দেখি অনন্যার ছলনায় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কারণে এবং সেটা সিফাত হত্যাকান্ডের  অনেক অনেক আগে।  রোমানের এই আইসোলেশন  এবং অনন্যার বিশ্বাসঘাতকতাই সিফাত হত্যাকান্ডের কারণ বা লজিক হিসেবে চলচ্চিত্রে হাজির করেছেন রায়হান রাফি। জেনে রাখা দরকার, সিনেমায় যখনই ভিলেনের বা খল চরিত্রের নেতিবাচক কাজের জন্য কারণ বা লজিক যুক্ত করা হয় তখনই চরিত্রটি আর নেতিবাচক থাকে না, বরং হিরোতে (হিরোইন) পরিণত হয়। এখানেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। রোমান কর্তৃক সিফাত হত্যার কারণ কিংবা লজিক হলো, অনন্যার ছলনা। ফলে চলচ্চিত্রের 'নিরীহ সিফাত'কে হত্যা করলেও, রোমান জনমানসে হয়ে ওঠেন আসল হিরো, আর ঠিক এখানেই ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে অনন্যা হয়ে ওঠেন মূল হত্যাকারী।

আবার বরগুনার নয়ন বন্ড যেখানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন, সেখানে সিনেমাটিতে রোমানের হত্যার দায়ও অনন্যার ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রেখেছেন রাফি। কারণ সামগ্রিক পরিসরে মিন্নিই হলো সেই ভিকটিম যার ওপর করণীয় এবং অকরণীয় সকল দায় নির্দ্বিধায় চাপানো যায়। তার পক্ষে বলার কেউ নেই। আর এদিকে নয়নের আদলে নির্মিত রোমানের সরলতার আড়ালে হারিয়ে যায় নয়ন বন্ডের ক্রুর চেহারা। মিন্নির সঙ্গে নয়নের গোপন ভিডিও ভাইরালের সামাজিক ব্যাধিও রাফি সযতনে এড়িয়ে যান। কে করেছিল সেই ভিডিও? তার উত্তর দিতে বা জানতেও আগ্রহী নন তিনি। আর বাস্তবের রিফাত হারিয়ে যান সিফাতের (ইয়াশ রোহান) মিষ্টি ও পড়ুয়া চেহারার আড়ালে, যে রিফাত কিনা নিজেও নয়ন বন্ডের বন্ধু ছিলেন।   

ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রে মূল নারী চরিত্রগুলোর মধ্যে তিনটিই নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত হয়েছে। এমনকি অনন্যা একসময় রোমানকে জানান, তিনি ছেলেদের মতোই বাইকে দুই দিকে পা দিয়ে বসবেন, মেয়েদের মত একপাশে নয়। সেই জেন্ডার স্টেরিওটাইপের আদি চিত্রায়ন। নারীবাদী আন্দোলনগুলোর চতুর্থ ঢেউ পেরিয়ে গেলেও আমাদের আধুনিক চলচ্চিত্রে খল নারীর চিত্রায়ন একই থেকে গেল। আর তাই বিয়ের পর অনন্যার ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা, রান্না না জানা অন্যদিকে অপর খল নারী চরিত্র 'গ্ল্যামারাস ডেইজি আপা'র হাতে সিগারেট–সবই নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত হয়েছে।

একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে, ভিজ্যুয়াল টেক্সট বা সিনেমায় শুধুমাত্র উপস্থিতি নয়, বরং অনুপস্থিত কনটেক্সটকেও  গুরুত্বের সঙ্গে পাঠ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই উপস্থিতি-অনুপস্থিতির রাজনীতির সমীকরণে বেরিয়ে আসে কন্টেন্টের আসল উদ্দেশ্য। ফলে যে বাস্তব ঘটনার নিরিখে এই সিনেমাটি বিক্রি হচ্ছে, তার থেকেও অনেক বেশি নারী বিদ্বেষী বয়ান হাজির করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে, যা ২০১৯ সালের সেই ঘটনায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। একইসঙ্গে এমন সব ঘটনা সিনেমাটি থেকে নাই হয়ে গেছে, যা এখানে থাকা খুবই দরকার ছিল। দেশে কত কত গুম, খুনের ঘটনা ঘটছে। অথচ সিনেমা বানানোর জন্য কেন এমন একটি নারীকেন্দ্রিক ঘটনাই আরও বেশি মশলা দিয়ে হাজির করতে হয়, তাও চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগে, তা সচেতনভাবে ভাবার সময় এসেছে। প্রতিদিন হাজারো নারীর ওপর পারিবারিক নির্যাতন, পথে ঘাটে সহিংসতা, ধর্ষণ আর খুনের ঘটনার ভিড়ে দুজন সরল প্রেমিক পুরুষের বিপরীতে এক ছলনাময়ী নারীর উপস্থাপন নারীর প্রতি সহিংসতাকে আরও উসকে দেবে বলেই মনে করি।

রায়হান রাফি অবশ্য চলচ্চিত্র ভালো বানান। সালমান শাহকে উৎসর্গ করে বানানো পোড়ামন-২ (২০১৮) তার শ্রেষ্ঠ নির্মাণ। গেল দশকের অল্প কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল সিনেমার মধ্যে এটি অন্যতম। দহন (২০১৮) অনেকটা প্রোপাগান্ডিস্ট ছবি হলেও নির্মাণ অসাধারণ। এছাড়া টান (২০২২), জানোয়ার (২০২১) দিয়েও তিনি দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছেন। নারীর চিত্রায়নে তার সাম্প্রতিক আরেক নির্মাণ ফ্লোর নাম্বার সাত (২০২২) এর সঙ্গে পরাণ (২০২২) এর মিল রয়েছে। চলচ্চিত্রে রেফারেন্সের ব্যাবহারে তিনি পারঙ্গম। পরাণে 'র শুরুতেই নিজ চলচ্চিত্র পোড়ামন-২ এর রেফারেন্সটির সফল ব্যবহার করেছেন। তবে সিনেমা বানাতে তার মুন্সিয়ানার জায়গা কাস্টিং। পরাণেও এর ব্যাত্যয় ঘটে না।

ছবি: সংগৃহীত

ইয়াস রোহান স্বপ্নজাল (২০১৮) এর অভিনয়কে উৎরে যেতে না পারলেও পরাণ-এ খারাপ করেননি। বিদ্যা সিনহা মিম এখন পর্যন্ত তার জীবনের সেরা কাজটি করেছেন এখানে। সবচেয়ে ভালো করেছেন শরীফুল রাজ। তিনি যতক্ষণ স্ক্রিনে থেকেছেন দর্শক তা উপভোগ করেছেন। রোজী সেলিমের ডেইজি আপা চরিত্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক চরকিতে মুক্তিপ্রাপ্ত আবরার আতহারের ওয়ান পিস মেইড  কারিগর ইজ ডেড (২০২২)- এ তারই অভিনীত চরিত্রটির মিল রয়েছে। বাবার চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিমকে আগস্ট ১৪  (২০২০)-এর তুশির বাবার থেকে আলাদা কিছু মনে হয়নি। তবে তোতা মিয়া চরিত্রে থিয়েটার থেকে আসা রাশেদ মামুন অপু অসাধারণ কাজ করেছেন।

পরিশেষে বলতে চাই, এই চলচ্চিত্রের দর্শক মধ্যবিত্ত এবং দর্শক বিচারে এটি একটি সফল নির্মাণ। কেন এই শতকের দ্বিতীয় দশকে এসেও এমন একটি গল্প শিক্ষিত মধ্যবিত্ত লুফে নিয়েছে, সেই মানস নিয়েও কাজ হওয়া দরকার। মজার বিষয় হলো দেশে নারীবান্ধব চলচ্চিত্র বা ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট মেপে সিনেমা দেখতে গেলে ঠগ বাছতে গা উজাড় করার মতো অবস্থাই হবে। হাল আমলের সাবরিনা (২০২২), আর বিগত সময়ের চার সতীনের ঘর (২০০৫), পালাবি কোথায় (১৯৯৭) বা কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩) আর অল্পকিছু গল্প বাদে জনপ্রিয় এমনকি আর্ট ফিল্মগুলোরও প্রায় সবই পুরুষালি লেন্সে নারীর প্রেজেন্টেশন। তবুও বহুদিন পর যখন চলচ্চিত্রে বাঁক বদলের আভাস দেখছি, তখন বয়ানরীতির পাশাপাশি নারী, পুরুষ, হিজড়া বা অন্য কোনো লিঙ্গ অথবা আইডেনটিটির গল্পে এবং প্রেজেন্টেশনে অকারণ বিদ্বেষের প্রয়াস না থাকুক।

মনিরা শরমিন: শিক্ষক ও চলচ্চিত্র সমালোচক

 

Comments

The Daily Star  | English

Jatrabari turns into battlefield as students clash

Students of three colleges clashed at Dhaka's Jatrabari today, turning the area into a battlefield

1h ago