ভবনের কাঠামো নকশা অনুমোদনে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঠামোগত নকশা অনুমোদনের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
রোববার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি নতুন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, 'রাজউক শুধু ভবনের স্থাপত্য নকশার অনুমোদন দিয়ে থাকে। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য কাঠামোগত নকশারও অনুমোদন জরুরি। তাই এ সংক্রান্ত আলাদা সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন।'
দূষণ এড়াতে পরিবেশবান্ধব অটোমেটেড ইটের কারখানা স্থাপনে সরকারকে নীতি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, 'সনাতনী ইটভাটায় দূষণে কৃষি, ফসলি জমির পাশাপাশি, মানুষের জীবনযাপনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে স্বয়ংক্রিয় ইট কারখানা স্থাপনে আগ্রহ বাড়বে, যা একই সঙ্গে দূষণমুক্ত ও সাশ্রয়ী।'
স্বল্প দামের আবাসন নিশ্চিত করতে এ খাতের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আবাসন খাতের সম্ভাবনা ও সংকট চিহ্নিত করে একটি কৌশলপত্র প্রস্তুতের জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, 'জমির স্বল্পতার বিপরীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা এ খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।'
বাসযোগ্য নগর নির্মাণে প্রয়োজনীয় নীতি পর্যালোচনা করার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে শোভন আবাসন নিশ্চিতে সব সুযোগ-সুবিধাসহ মডেল গ্রাম পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আবাসন খাতের জন্য প্রকল্প ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে গভর্নর ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, 'আবাসন খাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি শৃঙ্খলা এসেছে। রিহ্যাব সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার ফ্ল্যাট হস্তান্তর করছে। আবাসন খাতের সঙ্গে ২৭০টি উপখাত সরাসরি জড়িত। তাই সরকারি নীতি সহায়তার মাধ্যমে আবাসন খাতের উন্নয়ন হলে এসব উপখাতও বিকশিত হবে।'
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভুঁইয়া মিলন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী দ্বীন, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, কামাল মাহমুদ, এ এফ এম ওবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য সদস্যরা।
Comments