এবার মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজবে পারসিভারেন্স

মঙ্গল গ্রহে পারসিভারেন্স রোভার। ছবি: নাসা থেকে নেওয়া

ঐতিহাসিক এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। মূলত যে উদ্দেশ্যে 'পারসি'কে লালগ্রহ মঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল, এবার সেই উদ্দেশ্যেই কাজে নামতে যাচ্ছে নাসার রোভারটি।

আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়, মঙ্গলে নাসার মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আজ করতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের আদরের 'পারসি' বা রোভার 'পারসিভারেন্স'। এবার এর কাজ হলো— প্রতিবেশী গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খোঁজা।

৬ চাকার 'পারসি' আজ মঙ্গলের একটি প্রাচীন বদ্বীপে চড়ে বেড়াবে। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের সেই বদ্বীপের কাছে ৪৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এক জ্বালামুখে অবতরণ করেছিল রোভারটি।

প্রতিবেদন মতে, 'পারসি' এবার পাহাড়ে উঠবে। পাথর পরীক্ষা করবে। আর খুঁজবে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় কি না।

'পারসিভারেন্স' প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট ড. ক্যাটি স্ট্যাক মরগান বিবিসিকে বলেন, 'জেজেরো ক্র্যাটার এলাকার বদ্বীপেই পারসিভারেন্সের মূল কাজ। সেখানকার পাথরে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ থাকার সম্ভাবনা অনেক। এ ছাড়া, এর মাধ্যমে মঙ্গলের আবহাওয়া-ইতিহাসও জানা যাবে।'

অবতরণের পর থেকে রোভারটি এর যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে আসছে, মিনি হেলিকপ্টার চালাচ্ছে এবং আশপাশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে।

তবে এর মূল কাজ হলো, জেজেরোর পশ্চিমে পলিমাটির বিশাল স্তূপটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

মঙ্গলের এই বদ্বীপটি গড়ে উঠেছে বিশাল জলরাশিতে পড়া একটি নদীর পলি-বালিতে। আর শত শত কোটি বছর আগে সম্ভবত এই জ্বালামুখে পানি জমে হ্রদ সৃষ্টি হয়েছিল।

মিশনের বিজ্ঞানী লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, 'বদ্বীপ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস বহন করে। নদীর পানির সঙ্গে প্রাণী ভেসে আসে এবং সেগুলো বদ্বীপে আটকে যায়।'

মিশনের অপর বিজ্ঞানী ইন্ডিয়ানার পারডু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ব্রিয়নি হরগান বলেন, 'রোভারটির সঙ্গে কিছু অসাধারণ যন্ত্র আছে, যার মাধ্যমে বদ্বীপটির খনিজ ও রাসায়নিক উপাদান এবং এর গঠন সম্পর্কে জানা যাবে। সুপ্রাচীন হ্রদটির রাসায়নিক গঠন তথা এর পানিতে এসিড ছিল কি না বা সেখানে বাসযোগ্য পরিবেশ ছিল কি না বা সেখানে কী ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে তা জানা যাবে।'

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না— সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিত নন। 'পার্সি'র পছন্দের ৩-৪টি পাথর ভেঙে এবং জ্বালামুখের তলায় যেসব বস্তু পরীক্ষা করা হবে, সেখান থেকে এমন তথ্য আসতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt yet to receive any letter from Tulip: Shafiqul

Tulip has written to Yunus as she wants to meet him in London to clear up a "misunderstanding" after corruption allegations made by the interim govt led her to resign from the UK government

42m ago