অনলাইন হয়রানি থেকে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেবে ফেসবুক

Facebook-1.jpg

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের 'অনৈচ্ছিক' জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (পাবলিক ফিগার) হিসেবে গণ্য করে অনলাইনে তাদের হেনস্তা বা হয়রানি প্রতিরোধে কাজ করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ফেসবুকের বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রধান এক সাক্ষাতকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর মাধ্যমে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তীব্র সমালোচনাকে গ্রহণ করার নীতি থেকে সরে আসছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা সমাজে তাদের কাজের মাধ্যমে পরিচিত হন।

ফেসবুকের এক সাবেক কর্মী প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস করার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এ ছাড়াও, সারা বিশ্বে আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো ফেসবুককে গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছে।

মাসে প্রায় ২৮০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর প্লাটফর্ম ফেসবুক জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কীভাবে মূল্যায়ন করে, তাদের কনটেন্ট বা তাদের ওপর লেখা কনটেন্টগুলো কীভাবে প্রকাশ করে তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক আছে।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে ফেসবুকের কয়েকজন হাই প্রোফাইল ব্যবহারকারীকে প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়মের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার প্রভাব উঠে আসে। এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির 'ক্রস চেক' ব্যবস্থাও প্রকাশ্যে চলে আসে।

অনলাইন আলোচনায় সুরক্ষার ক্ষেত্রে ফেসবুক সাধারণ ব্যবহারকারীদের থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আলাদাভাবে বিবেচনা করে। যেমন, ব্যবহারকারীরা সাধারণত অনলাইন আলোচনায় কোনো তারকার মৃত্যু কামনা করতে পারেন। যদি না তারা সেই তারকার নাম সরাসরি উচ্চারণ করেন বা তাকে ট্যাগ করেন। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী এর ব্যবহারকারীরা কোনো সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু কামনা করতে পারেন না। এখন থেকে তারা কোনো সাংবাদিকের মৃত্যু কামনা করতে পারবেন না।

তবে এই তালিকায় আর কোন পেশাজীবীদের নাম আছে তা জানাতে ফেসবুক অস্বীকার করে বলেছে, এটি ঘটনার ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হবে।

এ বছরের শুরুতে ফেসবুক জানায় তারা আমেরিকায় পুলিশের নির্যাতনে নিহত জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে উদযাপন, তিরস্কার ও প্রশংসামূলক কনটেন্ট সরিয়ে ফেলবে। কারণ, তিনি 'অনৈচ্ছিক' জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

ফেসবুকের গ্লোবাল হেড অব সেফটি আন্তিগোনে দাভিস বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আক্রমণের ধরনের পরিধি বাড়াচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হয়রানি প্রতিষ্ঠানটি মেনে নেবে না। যেমন নারী ও এলজিবিটিকিউদের ওপর চরম নিন্দামূলক কথা প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

অনাকাঙ্ক্ষিত যৌনতা বিষয়ক কনটেন্ট ও অবমাননাকর যৌনতাপূর্ণ ফটো, ড্রয়িং বা কোনো ব্যক্তির চেহারা নিয়ে সরাসরি নেতিবাচক কথা ফেসবুক আর গ্রহণ করবে না। যেমন, কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রোফাইলে নেতিবাচক মন্তব্য করা যাবে না।

Comments

The Daily Star  | English

AL leaders' homes, businesses destroyed, vandalised

Demolition work on Dhanmondi-32 was on going till filing of this report at 1:30am

49m ago