দিনভর হাতির পিছনে ছুটল কয়েক গ্রামের মানুষ
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনভর নিয়ন্ত্রণহীন একটি হাতির পিছনে ছুটেছে গাইবান্ধার কয়েক গ্রামের মানুষ।
আজ সকাল ৯টায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৩ মাইল এলাকা থেকে 'দ্য লাকি সেভেন' সার্কাস দলের হাতি তার চালককে (মাহুত) পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে ধান খেত দিয়ে দিয়ে মাইলের পরে মাইল ছুটতে থাকে। পরে আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে হাতিটিকে পিছু পিছু তাড়া করে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে হাতিটি খাবারের অভাবে অথবা অত্যাচারের কারণে অথবা প্রজননকালীন সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, 'হাতিটির হয়তো এখন খাবারের এভাবে অথবা তার ওপরে অত্যাচার হওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। আমাদের কাছে হাতিটিকে অবশ করার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। এই কাজ বন বিভাগের।'
গাইবান্ধা সামাজিক বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে করছি হাতিটি কোনো সার্কাসের হবে। হাতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাছে দক্ষ জনশক্তি নেই। সাধারণত প্রজননকালীন সময়ে হাতি এমন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের, বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণ ইউনিটকে বিষয়টি জানিয়েছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল ৫টায় মাহুতরা হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।'
অন্যদিকে হাতির চালক (মাহুত) শাকিল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে আমি হাতিটি নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৩ মাইল এলাকায় টাকা তুলছিলাম (চাঁদা)। আমার খুদা লাগলে আর একজনকে হাতির পিঠে তুলে দিয়ে খেতে বসি। তখন হাতিটি ওই মাহুতকে পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে ছুটতে থাকে। হাতিটি পাগল নয়। সন্ধ্যার আগে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।'
Comments