জাহাজ ভাঙা শিল্পকে ‘লাল’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
আগে জাহাজ ভাঙা শিল্প পরিবেশ দূষণের দিক থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত থাকলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় একে কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ কমলা ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছিল। কিন্তু আবার একে লাল তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, 'শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ ছিল, আমরা এটাকে কমলা ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করি। কিন্তু আমরা এর সায়েন্টিফিক বেসিস পাইনি। আমরা মনে করি এটাকে লাল ক্যাটাগরিতেই ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।'
'এ শিল্পে ক্যান্সারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে' উল্লেখ করে সাবের হোসেন বলেন, 'আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড যাচাই করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।'
এ ছাড়া, নতুন যে নীতিমালা হচ্ছে সেখানেও জাহাজ ভাঙা শিল্পকে লাল ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিজ দপ্তরে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ
আগামী ১ মার্চ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন বিভাগের কার্যালয়ে সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক পণ্য যেমন প্লাস্টিকের কাপ, কাটা চামচ, প্লেট ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'কোনো ধরনের সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক তারা ব্যবহার করবে না। এগুলো যেহেতু নিজস্ব অফিস এখান থেকেই শুরু হোক সেটা চাই। আমরা চাইব পরবর্তীতে এটা বড় পরিসরে চালু হবে।'
Comments