কিশোরগঞ্জে প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

কিশোরগঞ্জ হাওরের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

টানা ২ দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জ হাওরের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

আজ শনিবার জেলার বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য সরকারিভাবে দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা ২ দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার প্রায় ৮০ শতাংশ  এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। ইটনা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সবকটিই প্লাবিত হয়েছে। তার মধ্যে লাইমপাশা, মৃগা, আমিরগঞ্জ, নুরপুর, বানিহাটী, পুরান হাটীতে পানি ঢুকে রাস্তাঘাট ও বাজার তলিয়ে গেছে। জেলার মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এবং নিকলী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা আক্তার জানান, ইটনা উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ ইটনা সদরে অবস্থিত সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সকাল থেকে প্লাবিত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ তথ্যগুলো জেলায় পাঠানো হবে।

এ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান ইউএনও নাফিসা আক্তার।

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন পয়েন্টে কিশোরগঞ্জের নদ-নদীর পানি ৩ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এভাবে বৃষ্টি হলে কিশোরগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা আছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম আজ বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, 'সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।'  

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

1h ago