৫৫ বছর বয়সে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বেলায়েত

বেলায়েত শেখ। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাগ্রহণে বয়স কোনো বাধা নয়, সেটা প্রমাণ করতে ৫৫ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন গাজীপুরের মাওনার বেলায়েত শেখ। চলতি বছর তিনি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সেটা পূরণ করতে পারেননি।

বেলায়েত ১৯৮৩ সালে প্রথমবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও টাকার অভাবে সেবার নিবন্ধন করতে পারেননি।

১৯৮৮ সালে তিনি আবারও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সে বছর সারাদেশে বন্যার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি। 

এর কয়েক মাস পর তিনি ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি 'দৈনিক করতোয়া' পত্রিকার গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি।

কর্মজীবন শুরু করার পর বেলায়েত আর পড়ালেখা না করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ছোট ভাইদের মাধ্যমে তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বর্তমানে তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক।

তার মেয়ে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও কলেজে যেতে আগ্রহী ছিলেন না। এমনকি, তার বড় ছেলেও পড়ালেখা করতে আগ্রহী নন।

ছেলে-মেয়েরা তার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন বেলায়েত।

অদম্য বেলায়েত অবশেষে ২০১৯ সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

যে বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দেন, একই বছর তার ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। 

বেলায়েত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা আমার জন্য খুব সহজ ছিল না। আমার গ্রামের লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনরা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কারণে আমাকে নিয়ে উপহাস করতো।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বেলায়েত একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন এবং নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বেলায়েত আরও বলেন, 'আমার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়া।'

এ লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১১ জুন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago