মেডিকেল শিক্ষার্থী আমিনার পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন-প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
দরিদ্র পরিবার থেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমিনা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
গত ১৪ মে 'মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত আমিনার পড়াশুনা' শিরোনামে দ্য ডেইলি স্টার বাংলায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী আমিনা খাতুন নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তার ভর্তির জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ তাকে একটি ল্যাপটপ দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে আমিনার হাতে ল্যাপটপটি তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
আমিনা খাতুন সবজি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ ও লাকী বেগমের মেয়ে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে আমিনা চতুর্থ। তিনি বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হাতীবান্ধা আলীমুদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন। তার ভাই-বোনেরাও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন।
আমিনা খাতুনের বাবা আব্দুল হামিদ ২০১৬ সাল থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
আমিনা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেডিকেলে পড়াশুনার সুযোগ পাওয়ার পরেও আর্থিক সঙ্কটের কারণে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত ছিল। জেলা প্রশাসন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় ভর্তি হয়েছি। ল্যাপটপ আমার পড়াশুনার জন্য খুব কাজে লাগবে। মেডিকেলে ভর্তি হলেও পড়াশুনার নিয়মিত খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমার দরিদ্র বাবার পক্ষে এ খরচ বহন করা অসম্ভব।'
আমিনার বাবা আব্দুল হামিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়েকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু তার পড়াশুনার জন্য খরচ বহন করা আমার জন্য কষ্টের। আমি সুস্থ থাকলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ যোগাতে আপ্রাণ চেষ্টা করতাম।'
আমিনাকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা করায় জেলা প্রশাসন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আব্দুল হামিদ ।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, আমিনা খাতুনের মেডিকেলে পড়াশুনা করার জন্য জেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।
Comments