সম্মেলন চাওয়ায় হাদীকে পেটালেন জয়-লেখকের অনুসারীরা
ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন দাবি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটিরই নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত হন সিলেট জেলার কানাইঘাট সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাদী। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলায় তার মাথা ফেটে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার নেতৃত্বে অন্তত ৯ জন নেতাকর্মী এ হামলা অংশ নেন বলে অভিযোগ আছে।
তবে আমির হামজা এ হামলায় ছিলেন না বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্তরা সবাই ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী বলে জানা গেছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল হাদী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ছিলেন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসলে তিনি সিলেটে থেকে এসে সম্মেলন দাবি করা নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হন। এজন্য তিনি কিছু দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন বলে জানান।
গতকাল রাত ১০টার দিকে টিএসসি এলাকায় বসে চা পান করার সময় তার উপর এ হামলা হয় বলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।
এ বিষয়ে মামলা করতে ওই দিনই শাহবাগ থানায় তিনি একটি আবেদন করেন।
থানার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমির হামজা এবং জগন্নাথ হল শাখার কর্মী পলাশ রায় ওরফে সৌরভ ও ঢাকা কলেজ শাখার কর্মী মো. রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আট–নয়জন তার ওপর হামলা করেছেন৷
ডেইলি স্টারকে তিনি হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে বলেন, 'আমি গত ২৭ অক্টোবর মধুর ক্যান্টিনের সামনে গেলে আমির হামজা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলেন, কেন আমি সম্মেলন দাবি করছি। আমাকে হুমকি দেন তিনি। বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতিকেও জানিয়েছে। এরপর গতকাল টিএসসিতে বসে চা পান করছিলাম, এমন সময় আমির হামজাসহ আরও কয়েকজন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমি এ ক্যাম্পাসের কি-না। পরে না উত্তর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর অতকির্ত হামলা চালায়। আমার মাথা ফেটে যায়। ডাক্তার ১৩টি সেলাই দিয়েছে।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমির হামজার কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টাকে বলেন, 'কোনোভাবেই আমি হামলার সঙ্গে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করছে তারা। হামলার সময়ে আমি ছাত্রলীগের সভাপতির জন্মদিন উপলক্ষে ব্যস্ত ছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করলে তারা দুজনই কোনো সাড়া দেননি।
Comments