নিয়োগের দাবিতে কুবি উপাচার্যের গাড়ি আটকাল ছাত্রলীগ নেতারা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও ঠিকাদারি কাজ পেতে উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। এই দাবি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা দুপুরে প্রথমে উপাচার্যের কার্যালয়ে উচ্চবাচ্য করেন। পরে উপাচার্যের গাড়ি আটকে আরেক দফা বাগবিতণ্ডায় জড়ান।

ছাত্রলীগের নেতারা নিয়োগ ও টেন্ডার দাবির কথা অস্বীকার করলেও উপাচার্য ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতারা সব 'অন্যায় দাবি' নিয়ে এসেছিল।

উপাচার্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ ২ জনের নিয়োগসহ বেশ কিছু অন্যায় দাবি নিয়ে এসেছিল। অনৈতিক দাবি মানতে পারব না বলায় তারা আমার গাড়ি আটকে রাখে।'

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ জনের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপাচার্য দাবি না মানায় বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা।

সেখানে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিয়োগ, টেন্ডারসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। উপাচার্য তাদের বক্তব্য শুনে লিখিত আকারে দাবি জানাতে বলেন। আর, সবকিছু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হবে জানিয়ে দিয়ে উপাচার্য তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের গাড়ি আটকে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উপাচার্যের উদ্দেশে তাদের কেউ কেউ নানা ধরনের মন্তব্য করেন। প্রায় ১০ মিনিট পর শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতারা উপাচার্যের গাড়ি ছেড়ে দেন।

উপাচার্যের কাছে ছাত্রলীগ কী দাবি নিয়ে গিয়েছিল জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েদের নতুন হলের (নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হল) কাজ শেষ করে রমজানের মধ্যেই শিক্ষার্থীদেরকে সেখানে উঠানো, নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে পানির সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। উপাচার্য আমাদের দাবি শুনে রাগারাগি করে বেরিয়ে গেলে বিভিন্ন হলের নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, 'তারা মূলত নিয়োগসহ কিছু অন্যায় দাবি নিয়ে এসেছিল।'

গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ছাত্রলীগের একাংশের হাত থাকতে পারে বলেও উপাচার্য দাবি করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইলিয়াস হোসেন সবুজের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English

57pc graduates struggle to get jobs: study

Around 57 percent graduates in Public Health discipline face significant challenges in finding jobs in relevant fields, according to a new study by Bangladesh Health Watch (BHW)

2h ago