চাঁদার দাবিতে লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

হামলায় লেগুনার সামের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুনের বিরুদ্ধে নীলক্ষেত লেগুনা মালিক সমিতির কাছে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার রাতে লেগুনা সমিতির নীলক্ষেত মোড় লেগুনা রুটের দেখভালের দায়িত্ব থাকা মৃধা মানিক দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এ অভিযোগ করেন।

মৃধা মানিক বলেন, 'ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার দাবি করা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় নীলক্ষেত মোড়ে ৪টি লেগুনা ভাঙচুর করেন তাদের সমর্থকরা। লেগুনা মালিকদের মারধরও করা হয়েছে৷ এর আগেও কয়েকবার লেগুনা ভাঙচুর করেছেন তারা।'

তিনি আরও বলেন, '৪ দিন আগে লেগুনা মালিক সমিতির নেতাদের ডাকেন স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। তারা সমিতির নেতাদের কাছে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে তাদের ২ দফা বৈঠক হয়। কিন্তু, মালিক সমিতি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আজ বিকেলে লেগুনা ভাঙচুর করেন তাদের সমর্থকরা। এতে ৪টি লেগুনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

নীলক্ষেত মোড় থেকে ৩টি রুটে ৮০টি লেগুনা চলাচল করে বলে জানান মৃধা মানিক।

লেগুনা মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও দ্য ডেইলি স্টারের কাছে একই অভিযোগ করেন।

৪টি লেগুনায় হামলার অভিযোগ করেন নীলক্ষেত লেগুনা সমিতি। ছবি: সংগৃহীত

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেগুনা মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, 'আমাদের ২ দফা ডাকেন ছাত্রলীগের ওই ২ নেতা৷ এ এফ রহমান হলের সামনের চায়ের দোকানে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ এরপর প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন৷ কিন্তু, এতো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আজ ৪টি লেগুনা ভাঙচুর করেছেন৷ চাঁদা দিয়ে লেগুনা চালালে যাত্রীদের ওপর চাপ পড়বে৷ এভাবে তো ব্যবসা করা যাবে না৷'

তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন।

রিয়াজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ অভিযোগ করা হয়েছে৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। লেগুনা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।'

মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, 'আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি- ভাঙচুরের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে তার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন৷ আমাদের বিরুদ্ধে কেন এ অভিযোগ করা হয়েছে তা আমরা জানতে চাইব৷'

এর আগেও কয়েকবার ছাত্রলীগ লেগুনা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ লেগুনা মালিক সমিতির। ছবি: সংগৃহীত

জানা গেছে, স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী এবং সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী৷

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগটি আমরা খতিয়ে দেখব৷'

নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ বলেন, 'লেগুনা ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব৷'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago