ছোটদের বৈশাখী পোশাক

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বৈশাখ। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ২ বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত দেশবাসী। নতুন পোশাক পরে নতুন বছর বরণ করবেন সব বয়সী মানুষ।
পহেলা বৈশাখের দিন যেহেতু বেশ গরম পড়ে তাই শিশুদের বৈশাখী পোশাক নির্বাচনে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ। পোশাক যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে দিতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।
এ ছাড়া রয়েছে পোশাকের রং। শিশুদের ম্যাড়মেড়ে বা হালকা রঙের চেয়ে উজ্জ্বল রঙেই বেশি মানায়। বৈশাখের রঙ লাল আর সাদা। বৈশাখ উপলক্ষে তাই লাল, সাদার কম্বিনেশনে চমৎকার সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফ্রক, ফতুয়া পাওয়া যায় শপিং মলগুলোতে।
তা ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন পেজেও আজকাল শিশুদের পোশাক বিক্রি হয়। তবে লাল, সাদা ছাড়াও নীল, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি রঙের বাহারি জামাও হতে পারে বৈশাখের পোশাক।

পোশাকের ধরণ
শিশুদের বৈশাখী পোশাকে থাকে দেশীয় সংস্কৃতির ছাপ। বৈশাখের কালেকশনে ছোট শিশুদের পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, ফতুয়া, ফ্রক, ধুতি পাওয়া যায়। অনেক বাবা-মা আবার পহেলা বৈশাখে শখ করে শাড়িও পড়িয়ে থাকেন আদরের কন্যা শিশুটিকে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, শাড়িটি শিশুকে আরাম দিচ্ছে কি না। বিভিন্ন বুটিক হাউজে শাড়ি, পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় রয়েছে রঙের ছটা, স্প্রে, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, হাতের কাজ ইত্যাদি।
লাল সাদার পটভূমিতে নানান রঙের খেলা এইবার পোশাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অনেক ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা ৭০-৮০-এর দশকের ফ্যাশনের একটু ছোঁয়া রেখেছে। দেশীয় ঐতিহ্যের অংশ কুলা, মুখোশ, পাখা, ঢোল, হাতী ইত্যাদি মোটিভের ব্যবহার আছে।
তবে কাপড়ের কাটিংয়ে আবার বোহেমিয়ান ফ্যাশন পাওয়া যাবে, বিশেষ করে এমব্রয়ডারির কাজে। বোহেমিয়ান ফ্যাশনের সঙ্গে ফিউশন করে দেশীয় মোটিভও রাখা হয়েছে। আবার জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিভও পাবেন বিভিন্ন কাপড়ে। বিভিন্ন উৎসবে মা-বাবা ও সন্তানদের একই পোশাক বর্তমানে হালের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
পোশাকের কাপড়
শিশুদের পোশাক নির্বাচনে পোশাকটি আরামদায়ক কি না সে ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বৈশাখের পোশাকে সূতি কাপড়ই বেশি প্রাধান্য পায়, তা ছোট হোক কিংবা বড়। এ ছাড়া লিনেন, লনের কাপড়ও বেশ পাতলা ও আরামদায়ক। যেহেতু তাপমাত্রা বেশি থাকার সম্ভাবনা বেশি, তাই জর্জেট, সিল্ক, সিন্থেটিক ও টিস্যু জাতীয় ভারী কাপড়গুলো পরিহার করাই ভালো।
গরমের জন্য কাটিংয়ে রাখা হয়েছে একেবারেই ভিন্নতা। পায়জামা ও হাতা একটু ঢিলাঢালা অর্থাৎ পালাজ্জো, ঢোল পায়জামা, বেশি কুচি দেওয়া পায়জামা ও একটু ঢিলা হাতা রাখা হয়েছে।
Comments