মিরাজের ২৫ রানের আক্ষেপ
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই নেই তিন উইকেট। এরপরও থেমে থাকেনি সে ধারা। নিয়মিত উইকেট পড়েছেই। শেষ দিকে বিনি হাওয়েল ঝড় না তুললে একশও করতে পারতো না চট্টগ্রাম। তাই লক্ষ্যটা বড় হয়নি। তারপরও শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিল দলটি। স্কোরবোর্ডে আর কিছু রান থাকলে হয়তো ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো। সে আক্ষেপটাই ঝরে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কণ্ঠে।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাওয়ালের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান করে চট্টগ্রাম। শেষ দিকে হাওয়েল ২০ বলে করেন ৪১ রান। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় সাকিব আল হাসানের দল। তবে দলীয় ৯২ রানেই প্রতিপক্ষের ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু শেষ দিকে জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভোর জুটিতে হার মানতে বাধ্য হয় তারা।
অবশ্য বল হাতে লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজই। ওপেনিং জুটি ভেঙে বরিশাল বুলসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও ফেরান। এরপর লক্ষ্যের দিকে সাবলীলভাবে এগিয়ে যাওয়া বরিশালে ফের দেন জোড়া ধাক্কা। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল দলটি। কিন্তু লক্ষ্য ছোট থাকায় শেষ রক্ষা করতে পারেনি তারা। আর সতীর্থ বোলারদের কাছ থেকেও পাননি পর্যাপ্ত সহায়তা। শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেনি দলটি। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতাই ম্যাচ হারার মূল কারণ।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, 'পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারালে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। আমার মতে আমরা ২৫ রান কম করেছি। হাওয়েল আমাদের জন্য খুব ভালো ব্যাটিং করেছেন। ২০ বলে ৪০ রান। দুর্ভাগ্যবশত বল হাতে আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারেনি।'
অন্যদিকে নিজেদের বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব, 'আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা দারুণ করেছে। আমরা হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম। তবে যেভাবে খেলেছি তাতে আমরা দারুণ খুশি। তবে অনেক জায়গা আছে যেখানে উন্নতি করতে পারি।'
Comments