লিড বাড়িয়ে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা, তাইজুলের ঝলকের পরও ড্রয়ের আভাস
চতুর্থ দিনের পর কিছুটা রোমাঞ্চের আভাস ছিল। কিন্তু শেষ দিনের খেলা শুরু হতেই তা যেন উধাও। বাংলাদেশের বোলারদের আলগা বোলিংয়ে প্রথম ঘণ্টাতেই রান আসতে থাকে দ্রুত গতিতে। পরে তাইজুল ইসলাম দুই উইকেট নিলেও জুতসই একটা লিডের পথে আছে শ্রীলঙ্কা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শেষ দিনের প্রথম সেশনে ২৬.৫ ওভার ব্যাট করে ৮৯ রান তুলেছে লঙ্কানরা। ৪ উইকেটে ১২৮ রান করে সফরকারীরা বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে গেছে ৬০ রানে। ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে, ১২ রান নিয়ে খেলছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
দিনের শুরু থেকেই ওয়ানডে গতিতে রান তুলতে থাকে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ঘণ্টাতেই ৮৩ বলে চলে আসে ৬৭ রান। অবশ্য তাতে অবদান ছিল বাংলাদেশের বোলারদের আলগা বোলিংয়ের।
পেসার খালেদ আহমেদের বলে পুল, ড্রাইভে টানা তিন চার মারেন কুশল মেন্ডিস। নাঈম হাসানের শর্ট বল উড়ান চার-ছক্কায়। একটা পর্যায়ে ২৫ বলেই ৪০ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
চড়তে থাকা রানের গতি থামান সাকিব আল হাসান। তবে দিনের প্রথম উইকেট আসে তাইজুল ইসলামের বলে। বিপদজনক মেন্ডিস তাইজুলের দারুণ এক বলে বোল্ড। মিডল স্টাম্পে বল পড়ে হালকা টার্ন করে ভেঙে দেয় মেন্ডিসের স্টাম্প। ৪৩ বলেই ৪৮ রান করে যান মেন্ডিস।
খানিক পর আবার তাইজুলের ঝলক। আগের ইনিংসে ১৯৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস তাইজুলের ফুল লেন্থের বল সোজা ড্রাইভ করেছিলেন। তীব্র বেগে যাওয়া বল দারুণ রিফ্লেক্সে হাতে জমিয়ে নেন বোলার তাইজুল।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে বাকি সময়টা সতর্ক পথে পার করে দেন অধিনায়ক করুনারত্নে। প্রথম ঘন্টায় যেখানে আসে ৬৭ রান, পরের ঘন্টায় আসে কেবল ২২ রান।
পঞ্চম দিনের উইকেটেও এখনো আহামরি কোন টার্ন নেই। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকা, এমনকি রান বের করাও হচ্ছে না খুব একটা কঠিন। নাটকীয় কিছু না ঘটলে চট্টগ্রাম টেস্টে ফল বের হওয়ার সম্ভাবনা কম।
Comments