চরম বিপর্যয়ে প্রতিরোধের চেষ্টায় লিটন-মুশফিক

Litton Das
লিটন দাসের শট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নড়েচড়ে বসার আগেই বিদায় নিয়েছিলেন দুই ওপেনার। বিপর্যয় সামাল দিতে পারেননি বাকিরাও। লঙ্কান দুই পেসার কাসুন রাজিতা ও আসিতা ফার্নান্দোর স্যুইংয়ে একের পর এক উইকেট খুইয়ে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৭ ওভারের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় অর্ধেক ইনিংস। চরম বিপর্যস্ত সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

সোমবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশনে ২৩ ওভার খেলে  ৫ উইকেটে  ৬৬  রান তুলেছে বাংলাদেশ। মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪২ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন মুশফিক-লিটন।  ৫৩ বলে ২৬ রানে ব্যাট করছেন লিটন, ৪৭ বলে ২২ রান নিয়ে ক্রিজে মুশফিক।

টস জেতার স্বস্তি নিয়ে ইনিংসের একদম দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কাসুন রাজিতার ভেতরে ঢোকা বল আলসে ভঙিতে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়।

দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন তামিম ইকবালও। আসিতা ফার্নান্দোর আউটস্যুয়িং ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে আউটসাইড এজড হয়ে তামিম ক্যাচ দেন পয়েন্টে। চোখধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া তা হাতে জমান প্রবিন জয়াবিক্রমা। ৬ রানে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট।

টেস্টে এই নিয়ে তৃতীয়বার বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ফিরলেন খালি হাতে। এর আগ ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ওপেনার ফিরেছিলেন ০ রানে। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষেও দেখা গিয়েছিল এই ঘটনা। তিনবারই এই দৃশ্য দেখা যায় মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। তামিম ছিলেন প্রতিটি ক্ষেত্রে।

mominul haque
আরেকটি ব্যর্থতা বাংলাদেশ অধিনায়কের। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুই উইকেট হারিয়ে দিশেহারা দলকে পথ দেখাতে পারেননি মুমিনুল। রানখরায় থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে দুই চার মেরেছিলেন।  তার ইনিংস স্থায়ী হয়েছে ৯ বল। আসিতার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।

তিনে নেমে এক পাশে উইকেট পতনের টিকে থাকার চেষ্টায় ছিলেন শান্ত। কিন্তু রাজিতার ভেতরে ঢোকা এক বল তার স্টাম্প উড়িয়ে নিয়ে যায় প্রায় কিপারের কাছে। পরের বলেই সাকিব আরেকটি ভেতরে ঢোকা বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ে দ্বিতীয়বার 'ডোল্ডেন ডাক' পেলেন সাকিব।  এর আগে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই চট্টগ্রাম টেস্টে অজন্তা মেন্ডিসের বলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সাকিব।  ২০০৪ সালের পর টেস্টে প্রথম ৭ ওভার ৫ উইকেট হারানোর বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়ে স্বাগতিকরা।

২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধে নামেন লিটন-মুশফিক। ধ্বংস্তুপের মধ্যে চলে তাদের পথচলা। শুরুর ঝাপটা সামলে থিতু হতে দুজনেই নেন সময়। এরপর ডানা মেলতে থাকেন তারা। ছন্দে থাকা লিটন সেশনের শেষ দিকটায় দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারিতে আলো কেড়ে নেন নিজের দিকে। আগের টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিক প্রতিপক্ষকে দেননি কোন সুযোগ।

Comments

The Daily Star  | English

BNP proposes term limit for PM, reinstating caretaker government

The party presented 62 proposals to the Constitution Reform Commission

22m ago