১৬ বছর পর নেই সেই পাঁচজনের কেউই
বাংলাদেশ টেস্ট দলে সবশেষ এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। তখন অবশ্য টেস্টে অভিষেকই হয়নি সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২০০১ সালে অভিষেক হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টেস্টে ছিলেন না মাশরাফি মর্তুজা। ছিলেন না ২০০৫ সালে অভিষিক্ত মুশফিকুর রহিমও। অভিষেকের পর ওই পাঁচ তারকার কেউই একাদশে নেই এমনটা প্রথম ঘটল এবার ক্রাইস্টচার্চে।
রোববার ক্রাইস্টচার্চে কুঁচকির চোটে শেষ মুহূর্তে মুশফিক ছিটকে যাওয়ায় অভিজ্ঞ তারকাদের সবাইকে ছাড়াই নামল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এমন দৃশ্য দেখা গেলেও টেস্টে প্রথমবার পাঁচ সিনিয়র তারকার কেউই নেই বাংলাদেশ একাদশে।
মাশরাফির টেস্ট ক্যারিয়ার থেমেছে সেই ২০০৯ সালে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসরে গেছেন গত বছর। এই দুজনের থাকার কথা তাই ছিলও না। চোটের কারণে এবার নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান পারিবারিক কারণ দেখিয়ে নিজেকে এই সফর থেকে দূরে রাখেন। সিনিয়র এই তারকাদের মধ্যে দলের সঙ্গে ছিলেন কেবল মুশফিক।
আরও পড়ুন- ১২৮ টেস্টেই ১০০ ক্রিকেটার খেলিয়ে ফেলল বাংলাদেশ
প্রথম টেস্ট খেললেও তাকে দ্বিতীয় টেস্টে পেল না দল। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে প্রথম টেস্টে সবাইকে চমকে দিয়ে নিউজিল্যান্ডোকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। সেই টেস্ট জয়ে খুব একটা অবদান ছিল না মুশফিকের। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলের ১২ রান, পরের ইনিংসে উইনিং শট খেলে অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
পাঁচ তারকাকে ছাড়া জুনিয়র ক্রিকেটারদের অবদানে একটি জয় আসাকে অনেক বড় করে দেখেছেন সাকিব। তার মতে চার-পাঁচজনের বাইরে ক্রিকেটার নেই এই কথা এখন ভুল প্রমাণ হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চে সিরিজ জেতার স্বপ্ন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে কাজটি অনেক কঠিন মুমিনুল হকের দলের। হ্যাগলি ওভালে ঘাসে ভরা উইকেটে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম।
Comments