ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের দাপট
কেইন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব পেয়ে প্রথম টেস্টে চরম হতাশায় পুড়েছিলেন টম ল্যাথাম। ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে পরের টেস্টেই তিনি হয়ে উঠলেন দুর্বার। ক্রাইস্টচার্চের সবুজ গালিচায় দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উল্টো হতাশা উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি।
রোববার হ্যাগলি ওভারে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দুই সেশনই নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৯২ রান তুলেছিল তারা। দ্বিতীয় সেশনে পড়েছে কেবল ১ উইকেট, ২৯ ওভারে আরও ১১০ রান যোগ করেছে কিউইরা। প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০২ রান।
দ্বাদশ সেঞ্চুরি তুলে ১৬৪ বলে ১৯ চারের পসরায় ১১৮ রানে অপরাজিত আছেন ল্যাথাম। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে খেলছেন ২৮ রান নিয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সাফল্য বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের। ১১৪ বলে ৫ চারে ৫৪ করা উইল ইয়ংকে তুলে নিয়েছেন তিনি।
টস জিতে তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামের হাতে বল তুলে দেন মুমিনুল হক। কিন্তু এই দুজন ঘাসের উইকেটে ফেলতে পারছিলেন না প্রভাব। তাদের সামলে রান বাড়াতে কোন সমস্যাই হয়নি ল্যাথাম-ইয়ংদের।
নবম ওভারে বল করতে আসেন আগের টেস্টের নায়ক ইবাদত হোসেন। প্রথম বলে বাউন্ডারি খাওয়ার পরের বলেই উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার ভেতরে ঢোকা বলে পরাস্ত হয়েছিলেন ল্যাথাম। জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ারও। তবে ল্যাথাম রিভিউ নিলে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্টাম্প মিস করে।
দুই বল পরই প্রায় একই রকম আরকে পরিস্থিতি। এবার সোজা বলে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে মিস করেন ল্যাথাম। আবারও এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু আবারও বাংলাদেশের উল্লাস থেমে যায় ল্যাথাম রিভিউ নেওয়ার পর। এবার দেখা যায় বল উইকেটের বাড়তি বাউন্সের প্রভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে উপর দিয়ে।
এরপর আর কোন সমস্যা তৈরি করতে পারেননি ইবাদতও। তার বল থেকে বের হয়ে যায় বেশ কিছু রান। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ইবাদত দিয়ে দেন ৩২ রান।
লাঞ্চ বিরতির পরই উইকেট পেতে পারতেন ইবাদত। তবে ইয়ংয়ের দেওয়া ক্যাচ স্লিপে বামদিকে অনেকটা ঝাঁপিয়েও জমা রাখতে পারেননি লিটন দাস। জীবন পেয়ে অবশ্য আর ২০ রানই যোগ করেন ইয়ং। ফিফটি তুলে স্কয়ার কাট করে ক্যাচ দিয়েছেন পয়েন্টে।
Comments