মিরপুরে অভিষেক হচ্ছে জয়ের?
শুক্রবার সকালে নেট অনুশীলনের শুরুতেই পাশাপাশি নেটে পাওয়া গেল নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়কে। এরপর একে একে নামলেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা। অনুশীলনের ছবি থেকে একাদশ আঁচ করা সব সময় সহজ না। তবে সংবাদ সম্মেলনে ডান-বাম উদ্বোধনী জুটির সম্ভাবনাই বেশি জানালেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাতে আছে জয়ের অভিষেকের আভাস।
সাইফ হাসান ছিটকে যাওয়ায় ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে স্কোয়াডে আসা জয়ই তার জায়গা নেওয়ার দাবি রাখেন। তবে দলের সেরা সমন্বয় বের করতে নানান দিক বিচার করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিব আল হাসান দলে আসায় এমনিতে ইয়াসির আলি চৌধুরির জায়গা নড়ে গেছে। কিন্তু চট্টগ্রামে অভিষেকে দারুণ খেলা ব্যাটসম্যানকে একাদশের বাইরে রাখা তার প্রতি সুবিচার না। একটা চিন্তা আছেন এমন শান্ত যদি ওপেন করেন তাহলে ব্যাটিংয়ে একটা জায়গা বের হয়ে যায়। সেখানে প্রবেশ করতে পারেন সাকিব, ইয়াসিরও সেক্ষেত্রে থাকতে পারেন একাদশে।
তবে শান্ত-সাদমান দুই বাঁহাতি নয়, উদ্বোধনী জুটিতে ডান-বামের সমন্বয়ের সম্ভাবনাই বেশি বলছেন মুমিনুল, 'আমার মনে হয়, উদ্বোধনী জুটির সমন্বয় ডান–বাম হতে পারে। হয়তো দুজন বাঁহাতিও হতে পারে। আসলে ডান–বাম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।'
চট্টগ্রামে খারাপ খেললেও এক টেস্ট আগে সেঞ্চুরি করায় সাদমান ইসলাম হয়ত টিকে যাবেন। তার সঙ্গী হিসেবে ডানহাতি একজন বেছে নিতে হলে আছেন কেবল জয়ই। তবে ইয়াসিরকে ওপেন করতে নামিয়ে বিস্ময় উপহার দিলে সেটা হবে বেশ বাড়াবাড়ি। এছাড়া ওপেন করতে পারেন এমন ডানহাতি আছেন আরেকজন। তবে লিটন দাস উইকেটকিপিং করায় খেলেন নিচের দিকে।
স্কোয়াডে ওপেনার হিসেবে ঢুকেছেন নাঈম শেখও। এমনিতে বাঁহাতি তিনি। দলের ডান-বাম সমন্বয়ের চিন্তাতেই খাপ খান না তিনি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নেটে তার বেহাল দশার পর শুক্রবার এই তরুণকে নেট অনুশীলনে দেখাই যায়নি। তাকে বিবেচনা করার কোন আভাস তাই মেলেনি।
হিসেব আছে আরেকটি, সাদমানকে বাদ দিয়ে শান্তর সঙ্গে যদি জয়কে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় তাহলেও ইয়াসিরের একাদশে জায়গা ধরে রাখা সম্ভব। নেট অনুশীলনে শান্তর সঙ্গে জয়কেই দেখা গিয়েছিল। তবে এক টেস্ট খারাপ করাতে সাদমানকে একাদশে বাইরে রাখা বেশ অবাক করা ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত কি হবে জানা যাবে শনিবার সকালে।
Comments