ডমিঙ্গোর ব্যাপারে অভিযোগ পায়নি, কোন সিদ্ধান্তও নেয়নি বিসিবি
বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গো থাকছেন কিনা এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই চলছে নানামুখী আলোচনা। কিন্তু বিসিবির কাছ থেকে মিলছিল না স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা। অবশেষে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, কোচের সঙ্গে বিশ্বকাপের আগেই চুক্তি করে ফেলেছেন তারা। সেই চুক্তিই থাকছে বহাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদনের আগ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে যাবেন না তারা।
২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশে আসেন ডমিঙ্গো। এবার বিশ্বকাপের আগেই তার সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি করে বিসিবি।
তবে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর কোচের ভূমিকা হয়ে পড়ে প্রশ্নবিদ্ধ। বিসিবি পরিচালক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন কোচের। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনূস ও এনায়েত হোসেন সিরাজকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে বিসিবি।
শনিবার মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলার পর বোর্ড প্রধান গণমাধ্যমকে ব্যাখ্যা করেন কোচ নিয়ে তাদের চিন্তা, 'বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহুর্তে রাসেল ডমিঙ্গো আমাদের কাছে লেখে যে ও খুব ভাল একটা প্রস্তাব পেয়েছে। ও চলে যেতে চায়। ও জানতে চাচ্ছিল আমরা তাকে এক্সটেন্ড করব কি করব না, যদি এক্সটেন্ড না করি তাহলে ঝুঁকির মধ্যে ও থাকবে না। যেহেতু কোভিড পরিস্থিতি তাহলে ও ওই জায়গায় কথা দিয়ে দেবে। তখন আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেছিলাম। পরে দেখলাম এই সময়ের মধ্যে কোন কোচ পাবও না। দ্বিতীয় হচ্ছে যদি পাইও ঠিক বিশ্বকাপের আগে আগে নতুন কোচ আনব কিনা সেটা নিয়েও দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম। বেশিরভাগ কোচ যাদের দেখছিলাম আরা আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বুকড।'
'সে সমস্ত কথা মাথায় নিয়ে বোর্ড চিন্তা করেছে যে তাকে এক্সটেনশন দিয়ে দেওয়া হোক। আমরা এক্সটেনশন দিয়ে দিয়েছি। এটা একটা অংশ। এখন আপনারা তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা কি। এই মুহুর্তে যদি জিজ্ঞেস করেন তাকে নিয়ে আগে যে চিন্তা ভাবনা ছিল তাই আছে। আমরা বিশ্বকাপের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।'
নাজমুলের মতে কোচ নিয়ে প্রশ্নগুলো এসেছে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের পর, এই কারণে কোন সিদ্ধান্ত যাওয়ার আগে তারা অপেক্ষায় আছেন তদন্ত প্রতিবেদনের, 'এই প্রশ্নগুলো আপনারা করছেন আসলে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের জন্য। বিশ্বকাপের আগে সিরিজগুলো হয়েছে তখন কিন্তু এই প্রশ করেননি। দল পারফর্ম করছিল, ভাল করছিল। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের পর কথাগুলো এসেছে।'
বিসিবি সভাপতি জানান, তদন্ত কমিটির সদস্য জালাল ইউনুসের কাছ থেকে অনঅফিসিয়ালি কোচদের ব্যাপারে কোন সমস্যার কথা পাননি তারা, 'ইনফরমালি আমি জালাল (জালাল ইউনূর) ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আহামরি তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। এটাতে আমি অবাক হইনি। আমি জানতাম এরকমই হবে। সমস্যা যদি থাকে, এইগুলা এত সহজে বের হবে না। আমরা যদি আপনাদের নিয়ে কমিটি করি। আর আপনারা খেলোয়াড়দের ডাকেন। আর খেলোয়াড়রা যদি বলে না কোচ নিয়ে কোন সমস্যা নেই তাহলে আপনি কি ব্যবস্থা করবেন। আপনার কি কিছু করার আছে?'
তবে এই তদন্তই শেষ কথা নয়, প্রতিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন বিসিবি প্রধান, 'এটাও বুঝি যদি কিছু থেকেও থাকে, বলছি না কিছু আছে প্লেয়ারদের পক্ষে ফট করে একবার জিজ্ঞেস করলে বলে দেবে এত সহজ না। একটা ইনশিয়াল হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাওয়া গেছে। তবে কোচিং স্টাফের ব্যাপারে কিছু পাওয়া যায়নি।'
'এই তদন্ত পর্যাপ্ত না। আমার ধারণা আমার নিজেরও তদন্ত করা উচিত। বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়দের চিন্তা ধারা আমার চেয়ে কেউ ত বেশি বুঝে না। আমি মনে করি ওয়ান-টু-ওয়ান কথা বলা দরকার। কিছু জুনিয়র, কিছু সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে। এবার যারা যাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার কিন্তু আছে মাহমুদউল্লাহ সহ। উনাদের রিপোর্ট যেদিন দেবে তার পরপরই বসতে চাই ওদের সঙ্গে।'
Comments