'কেউ না গেলে তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই'
সাকিব আল হাসান আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে না যেতে চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তার আবেদন এখনও অনুমোদন করেনি বোর্ড। আবেদন গৃহীত হলে নিঃসন্দেহে শক্তি হারাবে বাংলাদেশ দল। কেননা ব্যাটে-বলে সাকিবের শূন্যস্থান পূরণ করা যে একরকম অসম্ভব! এতে তার সতীর্থদের মনোবলেও লাগতে পারে ধাক্কা। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান বাবুলের মতে, সাকিবের যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আগের দিন শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণা করে বিসিবি। ১৮ সদস্যের এই দলে রয়েছে সাকিবের নাম। তবে এর আগে গণমাধ্যমের কাছে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এই সফরে যেতে অনিচ্ছার বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন সাকিব।
বিসিবি প্রধানের বক্তব্যের পর অপেক্ষা করেননি বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। বোর্ডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে যেতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে 'অনিবার্য পারিবারিক কারণের' কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাকিব জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড সফর থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া তার আর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের হয়ে কথা বলতে আসেন বাবুল। তিনি বলেন, বোর্ড ও সাকিব মিলে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়টির সুরাহা করবেন, 'এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সাকিব যাবে কি যাবে না, সাকিবের ব্যক্তিগত ব্যাপার। বোর্ডের বিষয়।'
শেষ পর্যন্ত সাকিব এই সফরে না গেলে তাকে নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ নেই বলে জানান এই স্থানীয় কোচ, 'এগুলো দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যান্যরা তাদের (নিজেদেরকে) নিয়ে চিন্তা করে। কেউ না গেলে তাকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই।'
সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের শক্তি যে কমবে তা অবশ্য স্বীকার করে নেন বাবুল, 'সাকিব বা অন্যান্য যারা ভালো খেলোয়াড়, তারা (সফরে) গেলে দলের শক্তি বাড়ে। আমরা জেতার জন্যই যাব।'
এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না সাকিব। ২০১৯ সালে চোটের কারণে তিনি খেলতে পারেননি। এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে পারিবারিক কারণে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন। এই দফায়ও একই কারণে না যাওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন সফরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলো আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মাউন্ট মঙ্গানুইতে হবে প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয়টি শুরু হবে ৯ জানুয়ারি।
Comments