'স্কোয়াডের বাইরের' মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলা অপছন্দ ডমিঙ্গোর

কফি খাওয়ার দাওয়াতটা নিজেই দিয়েছিলেন। কিন্তু দিয়েও সময় করে উঠতে পারেননি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ওইদিকে দাওয়াত পেয়ে অপেক্ষায় ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজ। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিটা বেশ জটিল হয়ে গেছে। অবস্থা এমনই যে স্কোয়াডের সদস্য না হওয়ায় মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলাই পছন্দ করেন না এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার এবং সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ শেষে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলার বাদ পড়ে যান তিনি। এরপর মাশরাফিকে কফির দাওয়াত দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভে গিয়ে এই কথা বলেছিলেন খোদ মাশরাফিই।

ফিটনেস ঘাটতির অজুহাত দেখালেও মাশরাফিকে বাদ দেওয়ার সঠিক কোনো কারণ দেখাননি নির্বাচকরা। ডমিঙ্গোও মাশরাফিকে চাননি বলে গুঞ্জন রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই প্রসঙ্গেই হয়তো আলোচনা হতো দুই জনের মধ্যে। কিন্তু পরে আর দাওয়াত রক্ষায় এগিয়ে আসেননি ডমিঙ্গো।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে ওই প্রসঙ্গ। দাওয়াত রক্ষার ইচ্ছা যে আর নেই তা প্রায় স্পষ্টই জানিয়ে দেন প্রোটিয়া কোচ ডমিঙ্গো, 'এখন স্কোয়াডে নেই, এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলতে আমি পছন্দ করি না। বাইরের মানুষ কী বলে, কী করে তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, স্যার। আমার মনোযোগ আমার দল, পরিবার ও কাজে। এর বাইরে কোনো কিছুতে মনোযোগ নেই।'

মুখে ভিন্ন কথা বললেও দুই পক্ষের মধ্যে যে একটা মৌন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তা প্রায় স্পষ্ট। গত বছর সামাজিক মাধ্যমে বিশাল এক স্ট্যাটাস দিয়ে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিসিবিকে এক হাত নিয়েছিলেন মাশরাফি। ডমিঙ্গোর কোচিং পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে মাশরাফিকে তার পক্ষ থেকে 'হাই' জানানোর কথাটাও বলে যান ডমিঙ্গো।
 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka sends diplomatic note to Delhi to send back Hasina: foreign adviser

The Ministry of Foreign Affairs has sent a diplomatic note to the Indian government to send back ousted former prime minister Sheikh Hasina to Dhaka.

4h ago