মুনিমদের এখনও চিনে উঠতে পারেননি সিডন্স
ওয়ানডে সিরিজ খেলতে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। দুদিন আগে তাদের সঙ্গে যোগ দেন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী, পেসার শহিদুল ইসলাম আর দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাঈম শেখ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলের এই চার জনই কেবল ওয়ানডে স্কোয়াডে নেই। শনিবার তারা প্রথমবারের মতো অনুশীলন করেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তাদের দেখভালের জন্য ছিল প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গ, ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
মুনিম-নাঈমদের সঙ্গে এদিনই প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হয় সিডন্সের। ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে বাংলাদেশে ফেরার পর গত সোমবার ওয়ানডে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। করোনাভাইরাসের কারণে আইসোলেশনে থাকার মেয়াদ পূর্ণ করে। পরদিনই অনুশীলনে যোগ দিয়ে সিনিয়র তারকা তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের দীক্ষা দেন তিনি। এবার তার সান্নিধ্য পেলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের তরুণ ক্রিকেটাররা।
প্রায় এক যুগ আগে সিডন্স যখন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন, তখন তার অধীনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল তামিম-সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটিংয়ের। তাদের তারকা হয়ে ওঠার পেছনে এই অস্ট্রেলিয়ান রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে ফিরলেও তার কাছে প্রত্যাশা একই।
বিপিএলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন ডানহাতি মুনিম। একই আসরে চরম ব্যর্থ হলেও টিকে গেছেন বাঁহাতি নাঈম। তাদের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সিডন্সের কণ্ঠে শোনা গেল আশার সুর, 'আজ প্রথমবারের মতো তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি এখনও জানি না কে কোনটা। আমি আজ, আগামীকাল ও টি-টোয়েন্টি শুরুর আগের দিনগুলোতে তাদের সঙ্গে পরিচিত হব। তাদের কয়েক জনকে বিপিএলে খেলতে দেখেছি। তাদেরকে দেখে বেশ ভালো লাগছিল। যদিও তাদের মধ্যে একজন (নাঈম) খুব বেশি সুযোগ পায়নি, যা বড় হতাশার। আশা করি, সে আমাদের জন্য দারুণ কিছু করবে।'
এদিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে কিছুক্ষণ অনুশীলন করেন মুনিম। তাকে পরখ করে দেখেন সিডন্স। এরপর নেটে নাঈমকে সময় দেন তিনি। অনুশীলন সেশনের শেষদিকে ওয়ানডে দলের পেসার ইবাদত হোসেনকেও ব্যাটিংয়ের প্রশিক্ষণ দেন সিডন্স।
Comments