তামিমের সেরা ক্রিকেটটা এখনও সামনে: সিডন্স
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে তামিম ইকবালের রান ১৪ হাজার ১৭৫। তার সামগ্রিক গড় ৩৫.৪৩। ২৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৮৯ হাফসেঞ্চুরি। সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ হাজার রান নেই বাংলাদেশ দলের আর কোনো ক্রিকেটারের। সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরির তালিকাতেও বাকিরা তার থেকে অনেক পেছনে। এমন সাফল্যে ভরপুর যার ক্যারিয়ার, সেই তামিমের সেরা সময়টা এখনও সামনে পড়ে আছে বলে বিশ্বাস ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সের।
বর্তমান বাংলাদেশ দলে থাকা সিনিয়র ও সফল ব্যাটারদের পেছনে সিডন্সের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সেই তালিকায় আছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম থেকে শুরু করে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা। অস্ট্রেলিয়ান সিডন্স দ্বিতীয় দফায় কাজ করতে এসেছেন বাংলাদেশে। আগের মেয়াদে তিনি ছিলেন প্রধান কোচের দায়িত্বে। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তার অধীনে খেলেছিল টাইগাররা। প্রধান কোচ হিসেবে সেসময় সিডন্সের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ক্রিকেটারদের ব্যাটিং শক্তিশালী করতে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসিত।
ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিডন্স। চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলমান ওয়ানডে সিরিজের অনুশীলনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তিনি দেখছেন পুরনো ও নতুন শিষ্যদের। শনিবার টাইগারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকায় আসেননি তামিম। তবে আগের সেশনগুলোতে তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন সিডন্স।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে সিডন্স জানালেন, তামিমের কাছ থেকে সেরাটা পাওয়ার এখনও বাকি আছে বাংলাদেশের, 'সে এলবিডব্লিউ না হলে তাকে আউট করা খুব কঠিন হবে। সে অনেক রান করবে। আমি দেখতে পাচ্ছি যে তার সেরা ক্রিকেটটা এখনও সামনে পড়ে আছে।'
তবে আগের দুই ম্যাচেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন বাঁহাতি ওপেনার তামিম। আউটগুলো ছিল যেন একটি অন্যটির প্রতিচ্ছবি। বাঁহাতি আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির ভেতরে ঢোকা বলে সামনে পা এগিয়ে খেলতে গিয়ে তামিম হন পরাস্ত। তড়িঘড়ি সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ব্যর্থতার ছবি এঁকে তিনি করেন যথাক্রমে ৮ ও ১২ রান।
তামিম নিজে কাজ করতে চান এলবিডব্লিউয়ের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যাপারে। সেই উপায়টা কী? সিডন্স বললেন, ইতোমধ্যে তিনি ধরতে পেরেছেন তামিমের ঘাটতির জায়গা 'সামনের পা সোজা রাখা নিয়ে কাজ চান তামিম। সত্যিই এটা তাড়াতাড়ি ঘটবে না। আমরা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এই কথাটা বলছি। আগামী তিন-চার বছর খেলতে হলে তামিমকে তার সামনের পাটা একটু সোজা করতে হবে। তাহলে সে আরও অনেক সাফল্য পাবে।'
এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এদিন বিশ্রামে ছিলেন বাংলাদেশের মূল তারকারা। নাজমুল হোসেন শান্ত, ইবাদত হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়- ওয়ানডে দলের মাত্র এই তিন ক্রিকেটার আসেন ঐচ্ছিক অনুশীলনে। তাদের পাশাপাশি ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের চার খেলোয়াড় মুনিম শাহরিয়ার, নাঈম শেখ, শেখ মেহেদী হাসান ও শহিদুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার তারা এসেছেন চট্টগ্রামে।
Comments