‘টি-টোয়েন্টি আগে বুঝতাম না, আস্তে আস্তে বোঝা শুরু করেছি’
টেস্টে লিটন দাসের ব্যাটে রানের ফল্গুধারা। ওয়ানডেতেও তাকে পাওয়া যায় ছন্দে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সংস্করণ হলেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলতেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমন খেলেই ব্যর্থ হতে হয়েছে তাকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর জানালেন, এই সংস্করণের সুরটাও ধরতে পারছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। তার ব্যাটেই বাংলাদেশ পায় ১৫৫ রানের পুঁজি। ওই রান নিয়ে জয় আসে ৬১ রানের বড় ব্যবধানে।
এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে লিটন ক্রিজে আসেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। দলের চাপে শুরুতে সময় নিয়ে খেলেছেন। থিতু হয়ে সবটা পুষিয়ে দেন। ফিফটি আসে ৩৪ বলেই। ১৭তম ওভারে ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় করেন ৬০।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ডানহাতি ব্যাটার জানালেন, সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের ভাষাটা আস্তে আস্তে মাথায় ঢুকছে তার, 'যদি চিন্তাধারা ঠিক থাকে তাহলে ১২০ বলে অনেক সময়। যেহেতু খেলাটা আস্তে আস্তে বোঝা শুরু করেছি। আগে বুঝতাম না আসলে। এটা হিউম্যান ন্যাচার যে যত খেলবেন ততই বুঝবেন। আমি বোঝা শুরু করেছি, আগামীতে চেষ্টা করব যেভাবে দলকে সাহায্য করা যায়।
টেস্টে সেরা ছন্দে থাকায় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১২তম অবস্থানে আছেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সেরা র্যাঙ্কিং। ওয়ানডেতেও গত ১৬ ম্যাচে আছে ৪ সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতেই কেবল ধুঁকছিলেন। এক সময় ১৪০ এর বেশি স্ট্রাইকরেট থাকলেও সেটা ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। লিটন জানালেন সংস্করণ ভেদে খেলার ধরণ যেমন প্রভাব রাখে, তেমনি টাচে থাকাও কাজটা করে দেয় সহজ, 'টি-টোয়েন্টিতে রাশ থাকে বেশি। ওয়ানডে আপনার কাছে পর্যাপ্ত সময়, টেস্টে অনেক সময়। সংস্করণটা আসলেই ভিন্ন। আপনি যদি ভালো টাচে থাকেন যেকোনো সংস্করণই সহজ হয়ে যায়।'
'সবাই বলে ক্রিকেট মাথার খেলা। এক্সেক্টলি আপনি যদি মাথা দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে আপনার কাছে অনেক সময় আছে। যদিও টি-টোয়েন্টি অনেক রাশের খেলা তবু আপনার কাছে পর্যাপ্ত সময় থাকে একটা ভালো ইনিংস খেলার জন্য। যেহেতু আমি টপ অর্ডার। টেস্টে, ওয়ানডেতে এনাফ সময়। চিন্তাধারা যদি থাকে আমি এই ফরম্যাটে এমন খেলব, ওই ফরম্যাটে এমন খেলব তাহলে…(ভাল করা যায়)।
Comments