উইকেটের সুফল দেখছেন মিরাজ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ভেন্যু চট্টগ্রাম হওয়ার পেছনে কাজ করেছে উইকেটের ভাবনা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ বরাবরই ব্যাটিংবান্ধব। এখান থেকে ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই ফল আনতে চেয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচে পূরণ হয়েছে সে প্রত্যাশা। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য এর সুফল দেখতে পাচ্ছেন আগামীতেও।
প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের স্পিন শক্তি মাথায় রেখে উইকেটে রাখা হয়েছিল ঘাস। শুরুতে যা পেসারদের সহায়তা করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে হয়েছে রানপ্রসবা। প্রথম ওয়ানডেতে ২১৬ রান তাড়ায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পরও তাই মিরাজ-আফিফ হোসেনের ১৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে উইকেটের পুরো ফায়দা তুলেছেন লিটন দাস, রান এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেও। এই দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন রেকর্ড ২০২ রানের জুটি। বড় রান করে আবারও তাই হেসেছে বাংলাদেশই।
সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে উইকেটের চরিত্র থাকবে একইরকম। রোববার দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন সেরে মিরাজ জানান, এরকম উইকেটে খেললে বড় টুর্নামেন্টগুলোতেও উপকার পাবে বাংলাদেশ, 'ওয়ানডেতে রান হলে ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস পায়। যদি বড় ইভেন্টে খেলতে যান, যেমন- এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ... যেহেতু আমাদের সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে ভারতে। ওখানে কিন্তু ৩০০ রান করতেই হবে, ৩০০ রান চেজ করতে হবে এবং ৩০০ প্লাস রান করতে হবে। যেহেতু ভালো উইকেট থাকে। তো এখানে তো ভালো উইকেট আছে, যদি আমরা এখন থেকে ভালো উইকেটে মানিয়ে নিতে পারি, নিজেদের অ্যাডাপ্ট করতে পারি, তবে বিশ্বকাপ বলেন বা বড় ইভেন্টের জন্য ভালো হবে।'
'আমরা যারা ব্যাটার আছি, তারা সবাই ভালো। আমরা বড় রান লক্ষ্য দিতে পারি, তবে বিপক্ষের জন্য কঠিন হবে। তো আমি মনে করি, উইকেটটা ভালো ছিল এবং বোলারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং বেশি রান হলে ব্যাটারদের জন্য একটু ভালো হয়। অবশ্যই আমরা পরিকল্পনায় সফল হয়েছি।'
প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে হিরো হলেও দলে মিরাজের মূল ভূমিকা অফ স্পিনার। তার কাছ থেকে ১০ ওভারের একটা ভরসা করেই রাখে দল। উইকেট ভালো হলে ব্যাটার মিরাজের উপকার হলেও বোলার মিরাজকে পড়তে হয় চ্যালেঞ্জে। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও রান আটকে রাখার কাজ করেছিলেন। গত ম্যাচে ১০ ওভারের স্পেলে তিনি ছিলেন বেশ সাদামাটা। ৫২ রান খরচায় পেয়েছেন কেবল ১ উইকেট।
মিরাজ ব্যাখ্যা দিলেন দুই দিনে কেন এমন তফাৎ, 'উইকেটটা ভালো ছিল, পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। যেদিন আমি ২৮ রান দিয়েছি, সেদিন আমরা শুরুতে বোলিং করেছি। ওরা আমার বিপক্ষে তেমন চান্স নেয় নাই। পরের ম্যাচে আমরা পরে বোলিং করেছি এবং ওরা ৩০০ রান চেজ করছিল। তো ওই দিন ওরা রানের জন্য খেলবেই। পরের ম্যাচে অ্যাটাকিং খেলেছে, বাউন্ডারি মেরেছে। দিন শেষে এটা খেলার অংশ। প্রথম দিন আমি এক সাইড থেকে রান চেপে ধরেছি। অন্যদিক, থেকে উইকেট নিয়েছে। পরের দিন হয়তো আমাকে ওরা (আফগানিস্তান) চান্স নিয়েছে। তো এটা ম্যাচ পরিস্থিতি যেমন আসে, তেমনই হয়।'
Comments