বাংলাদেশকে ধসিয়ে বোল্ট বললেন, ‘এটাই টেস্টের সৌন্দর্য’

Trent Boult

কদিন আগেই দুই দলের অবস্থা ছিল বিপরীত। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় পুড়িয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে উড়ছিল বাংলাদেশ। উড়তে থাকা সেই অবস্থা থেকে ক্রাইস্টচার্চে এসে মুমিনুল হকের দল যেন রীতিমতো ভূপাতিত। ঘাসে ভরা উইকেটে স্যুয়িংয়ের পসরায় বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার নায়ক ট্রেন্ট বোল্ট বলছেন, টেস্টের সৌন্দর্য এটাই। এদিন ৫ উইকেট নেওয়ার পথে টেস্টে ৩০০ উইকেটও স্পর্শ করেছেন বাঁহাতি এই পেসার।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ঘাসে ভরা উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাট করতে দিয়ে বল হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ রানের পাহাড়ের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসে নামে ধস।

সাড়ে চার সেশন ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৫২১ রান করে ইনিংস ছেড়ে দেয় কিউইরা। অধিনায়ক টম ল্যাথাম একাই করেন ২৫২ রান। বাংলাদেশ সবাই মিলে করতে পারে তার ঠিক অর্ধেক। বোল্টের ঝাঁজে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে পড়ে ফলোঅনে। বোল্ট ৪৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের ইনিংসে হানা দেন বোল্ট আর টিম সাউদি। ১১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে যায় সফরকারীরা। চা-বিরতির পর ফিরেও হারায় লিটন দাসের উইকেট। কেবল দুই ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি (৫৫) ও নুরুল হাসান সোহান (৪১)  ছাড়া কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

নিজেদের চেনা কন্ডিশনে বল হাতে নিয়েই দুই দিকে স্যুয়িংয়ে ছোবলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করতে থাকেন বোল্ট। ড্রাইভে প্রলুব্ধ করে নিয়েছেন একের পর এক উইকেট। দিন শেষে জানালেন, শুধু ঘাস নয় হ্যাগলি ওভালের বাতাসও সুবিধা দিয়েছে তাদের, 'এটাই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য। ভিন্ন ভেন্যুতে ভিন্ন চিত্র এসেছে। উইকেটের ঘাস ও বাতাস এতে ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয় শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলে ফেলা টোন সেট করে দেয়, চাপটা ওদের দিকেই থেকে যায়। আমরা যেটা বলেছিলাম সেটাই করতে পেরেছি। সাধারণ ব্যাপারই করেছি, ওদের সামনের পায়ে খেলতে দেওয়া।'

মেহেদী হাসান মিরাজকে দারুণ এক বলে বোল্ড করে চতুর্থ কিউই বোলার হিসেবে বাঁহাতি বোল্ট স্পর্শ করেন টেস্টে ৩০০ উইকেট। বাংলাদেশের এক ইনিংস গুটিয়ে সন্তুষ্টি থাকলে বাকি অর্ধেক কাজের দিকে মন তার,  'অর্ধেক কাজ সারা হয়েছে। আসলেই আজকের বিকালে আমি সন্তুষ্ট।'

কিউইদের ৫২১ রানের জবাবে ১২৬ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ থেকে পিছিয়ে আছে ৩৯৫ রানে। কিন্তু সফরকারীদের ফলোঅন করাবে নাকি নিজেরাই ব্যাট করবে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও একটা আভাস দিনশেষে দিয়ে রেখেছেন বোল্ট,  'উইকেট কিছুটা ক্ষত তৈরি করছে। সকাল বেলা নতুন বল হাতে খুবই সুন্দর পরিস্থিতি হওয়ার কথা। আমার মনে হয় এটা ভেবেই তাদের রাত কাটবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago