দুর্দান্ত বোলিংয়ে রেকর্ড বইতে ইবাদত
নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ ছিলেন দুর্ধর্ষ ও উজ্জ্বল। তাদের পাশে ইবাদত হোসেন ছিলেন অনেকটাই নির্বিষ ও নিষ্প্রভ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে যেন নতুন করে চেনালেন এই ডানহাতি পেসার। বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক জয়ের মঞ্চ তৈরি করতে তিনি নিলেন ৬ উইকেট। পাশাপাশি ইবাদত নিজের নাম ওঠালেন রেকর্ড বইতে। টেস্টে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের নজির এটি।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে ১ উইকেট পাওয়া ইবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪৬ রানে ৬ উইকেট। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট দখল করেন তিনি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং দিয়ে তিনি গড়লেন বাংলাদেশের হয়ে নতুন কীর্তি।
দেশের বাইরে টাইগার কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এতদিন ছিল রবিউল ইসলামের দখলে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় নয় বছর পর সেটা ভেঙে দিলেন ২৭ বছর বয়সী ইবাদত। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বিদেশের মাটিতে তার চেয়ে সেরা বোলিং ফিগার আছে কেবল সাকিব আল হাসানের। ২০১৮ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিতে তিনি দিয়েছিলেন ৩৩ রান। পেসার-স্পিনার সব মিলিয়ে সাকিবই আছেন সবার উপরে।
আগের দিন ৪ উইকেট পাওয়া ইবাদত বুধবার পঞ্চম দিনে নেন আরও ২ উইকেট। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাঁধা রস টেইলরকে বোল্ড করে দেন তিনি। পরের ওভারে আক্রমণে ফিরে তিনি সাজঘরে পাঠান কাইল জেমিসনকে। হাওয়ায় ভেসে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে সহায়তা করেন শরিফুল। এরপর তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে গুটিয়ে দেন স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে থামায় বাংলাদেশ পায় ৪০ রানের মামুলি লক্ষ্য।
আগের ১০ টেস্টে ১৩ ইনিংসে বল করে ইবাদত পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ইনিংসে একটি উইকেটও ছিল না তার। এবার এক টেস্টেই তিনি পেলেন ৭ উইকেট।
আরও একটি অর্জনে রবিউলকে অতীত বানান ইবাদত। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সবশেষ পেসার হিসেবে রবিউল টেস্টে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর কাছাকাছি গেলেও আর কোনো পেসারের পাওয়া হয়নি তা। অবশেষে ইবাদত অবসান ঘটালেন দীর্ঘ অপেক্ষার। সময়ের হিসেবে প্রায় ৯ বছর এবং ম্যাচের হিসেবে ৪৭ টেস্ট পর।
Comments