হার্মার-মহারাজের ঘূর্ণিতে চরম বিপদে বাংলাদেশ
জিততে হলে করতে হবে ২৭৪ রান। টেস্টে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড বাংলাদেশের নেই। ক্রমশ কঠিন হয়ে যাওয়া কন্ডিশনে কাজটা এমনিতেও ছিল ভীষণ কঠিন। শেষ বিকেলে রান তাড়ায় নেমে সেটা এখন প্রায় অসম্ভব হওয়ার যোগাড়!
ডারবানে রোববার চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে রান তাড়ায় নেমে ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মুমিনুল হকের দল। আলোকস্বল্পতায় প্রায় ২০ ওভার আগে দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১।
৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম এখনো খুলেননি রানের তারা। শেষ দিনে ৭ উইকেট নিয়ে জেতার জন্য দরকার ২৬৩ রান। পুরো দিন পার করে ম্যাচ বাঁচানোও কঠিন চ্যালেঞ্জের।
চা-বিরতির পর নেমে দ্রুত প্রোটিয়াদের শেষ ৫ উইকেট তুলে নেয়। স্বাগতিকদের ২০৪ রানে আটকে একটা ইতিহাসের হাতছানির সামনে ছিল দল। কিন্তু নিজেরা ব্যাট করতে নেমেই বদলে গেল প্রেক্ষাপট।
শুরুটা সাদমান ইসলামকে দিয়ে। নিজের জায়গা প্রশ্নের মুখে ফেলা এই বাঁহাতি ওপেনার এবার টিকতে পেরেছেন কেবল ২ বল। সাইমন হার্মারের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন কোন রান না করেই। অনুকূল কন্ডিশন দেখে তেতে উঠেন কেশব মহারাজ।
আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়কে দারুণ এক আর্ম বলে বোল্ড করে দেন তিনি। জয় এবার করেন স্রেফ ৪ রান। অধিনায়ক মুমিনুল প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। মহারাজের টার্ন করে ভেতরে যাওয়া বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। ৪ বলে কেবল ২ রান করেন তিনি।
দিনের খেলা পুরো হলে আরও উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। উইকেট থেকে বেশ সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। বল টার্ন করছে, কিছু বল লাফিয়ে উঠছে আবার কিছু নিচুও হচ্ছে।
আলো কমে যাওয়ায় এক ধরণের স্বস্তি আসে দলের ভেতর। তবে পঞ্চম দিনে এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে কঠিন এক পরীক্ষায় পড়তে হবে মুমিনুলদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(চতুর্থ দিন শেষে)
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৩৬৭
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৯৮
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: (আগের দিন ৬/০) ৭৪ ওভারে ২০৪ (এরউই ৮, এলগার ৬৪, পিটারসেন ৩৬, বাভুমা ৪, রিকেলটন ৩৯*, ভেরেইনা ৬, মুল্ডার ১১, মহারাজ ৫, হার্মার ১১, উইলিয়ামস ০, অলিভিয়ের ০; খালেদ ০/৩৩, মিরাজ ৩/৮৫, শান্ত ০/৩, ইবাদত ৩/৪০, মুমিনুল ০/০, তাসকিন ২/২৪)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৬ ওভার ১১/৩ (জয় ৪, সাদমান ০, শান্ত ৫*, মুমিনুল ২, মুশফিক ০* ; মহারাজ ২/৭, হার্মার ১/৪)
Comments